বগুড়ায় ১০ মামলার পলাতক আসামি ঝুমুর সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার রাত সোয়া দুইটার দিকে শেরপুর উপজেলার ধুনট মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ঝুমুর সরকার শহরের চক সূত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকার মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি আলোচিত যুবলীগ নেতা মতিন কাউন্সিলরের ভাই। তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার। 

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়া শহরের বড়গোলা ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় ছাত্রজনতার মিছিলে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। ককটেল ও পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণের পাশাপাশি পিস্তল ও কাটা রাইফেল দিয়ে গুলি চালানো হয়। এ হামলায় আবদুল মান্নান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর সদর থানায় হয। ওই মামলার অন্যতম পলাতক আসামি ঝুমুর সরকার।

তিনি আরও জানান, ঝুমুর সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মারপিটসহ ১০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ম র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে র‌্যাগিং করায় ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তিন ছাত্র-ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় বিভাগের আরো চার শিক্ষার্থীকে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

রবিবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের জরুরি একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী যুবরাজ হাসান, রাজিয়াতুন নাহার নিশু ও রহমাতুল্লাহ মাজীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আরো পড়ুন:

মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস

বিদ্যালয়ের সিঁড়ির রেলিং থে‌কে প‌ড়ে ছাত্রীর মৃত্যু

অন্য বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিয়া আঁখি, মো. মুইনন্দীন, মো. মাজহারুল ইসলাম ও মো. রাকিব হোসেনকে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, “র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছিল। অপরাধের বিবেচনায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সব শিক্ষকের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আশা করি তারা সতর্ক হবে এবং এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ