এবার ব্যাটারি ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার
Published: 11th, May 2025 GMT
স্মার্টফোনের ব্যাটারি পরিষেবার মানোন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১০ হাজার মেগাহার্টজ ব্যাটারি কনসেপ্ট ফোন উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। আলট্রা ব্যাটারি থাকার পরও অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে মডেলের পুরুত্ব করা হয়েছে ৮.৫ মিলিমিটারেরও কম। ওজন ২০০ গ্রাম থেকে কিছুটা বেশি। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কথা বিবেচনায় মডেলে আলট্রা হাই-সিলিকন যুক্ত অ্যানোড ব্যাটারি থাকছে, যেখানে ১০ শতাংশ থাকছে সিলিকন। স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে এখন যা সর্বোচ্চ। সঙ্গে ৮৮৭ ওয়াট আওয়ার্স পার লিটারের শক্তি, যা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। কারিগরি উদ্ভাবনে ব্র্যান্ডটি ‘মিনি ডায়মন্ড আর্কিটেকচার’ চালু করেছে, যা ব্যাটারির স্থান অপটিমাইজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ নকশাকে নতুন অবয়ব দিয়েছে। মাত্র ২৩.
প্রোটোটাইপের আধা-স্বচ্ছ ব্যাক কাভারের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও ক্ষুদ্রায়িত মেইনবোর্ড দৃশ্যমান হয়।
উদ্ভাবনের ভাবনায় ব্যাটারি লাইফ ও দ্রুত চার্জিং উদ্ভাবনে ব্র্যান্ডটি নিয়মিত কাজ করছে।
জিটি নিওথ্রি ডিজাইনে ১৫০ ওয়াট ফাস্ট-চার্জিং থেকে জিটিথ্রির ২৪০ ওয়াট এবং ৩২০ ওয়াট ধারণার ফোন উদ্ভাবনে কাজ করছে গবেষণা ব্র্যান্ডটি। জিটি সেভের সিরিজের চমকের অপেক্ষায় ভক্তরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সীমা বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার
বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বার্ষিক ভ্রমণ কোটার বাইরে চিকিৎসার জন্য বছরে ১৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারবে ব্যাংক। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না। এতদিন সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১০ হাজার ডলার। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়।
ভ্রমণ কোটায় এমনিতেই একজন বছরে ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারেন। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির দরকার হয় না। ব্যাংকগুলোই এ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এনডোর্স করতে পারে। এর বাইরে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় সীমা ১০ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হলো। কারও চিকিৎসায় এর বেশি খরচ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ের পক্ষে প্রমাণ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি হাসপাতালের নামে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় কিংবা আন্তর্জাতিক কার্ডের বিপরীতে অর্থ ছাড় করতে পারে ব্যাংক। নির্ধারিত এ সীমার মধ্যে নগদ ৫ হাজার ডলার ছাড় করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে জানান, বিদেশে চিকিৎসার পেছনে বাংলাদেশিরা বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেন। এর বড় অংশই অনানুষ্ঠিকভাবে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান। এ খরচ বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এতদিন চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই যেত ভারতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশটিতে ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে গেছে। এখন যেসব দেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবেই খরচ মেটাতে হয়। যে কারণে সীমা বাড়ানো হয়েছে। সীমা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলো চিকিৎসা ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় করতে পারবে।