আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে
Published: 13th, May 2025 GMT
মাগুরার আলোচিত আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১৭ মে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালত এ তারিখ ঘোষণা করেন।
আজ মামলার দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এর আগে মামলার বাদীসহ মোট ২৯ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং দুই দিন হয় এ বিষয়ে যুক্তিতর্ক।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জানান,আদালতে আসামিদের বিপক্ষে আনা দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে আগামী ১৭মে শনিবার মামলার রায় দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “আজ সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ৩৫ মিনিটে।”
মামলায় গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ২৯ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয় আট কার্যদিবস ধরে। গত ৮ মে স্বাক্ষ্য শেষ হয়। ১২ ও ১৩ মে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়।”
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের একটি গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় শিশু আছিয়া। ৫ মার্চ রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে চারজনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে ‘পালানোর’ অভিযোগে এক উপমহাপরিদর্শকসহ (ডিআইজি) পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ২৯ জুন এসপি, অতিরিক্ত এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে একই অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন— চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আল মিনা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার এবং ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী।
ডিআইজি নুরে আলম সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে অনুপস্থিত রয়েছেন। ডিবির সাবেক ডিসি মানস কুমার পোদ্দারকে সবশেষ যুক্ত করা হয় কুমিল্লার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে। সেখানে তিনি গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে অনুপস্থিত।
এদিকে ডিএমপির সাবেক ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরীকে এসপি হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছিল। কর্মস্থলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে, পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন এসব কর্মকর্তারা।’