দিনাজপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার পেল ১০ লাখ টাকা
Published: 13th, May 2025 GMT
দিনাজপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৮ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রত্যককে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে অনুদান হিসেবে এ সব সঞ্চয়পত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম।
সঞ্চয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ- আলম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শাহানা আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
পাবনায় আ.
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি
শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্রপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন, দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ উত্তরপাড়া গ্রামের শহীদ রবিউর ইসলাম রাহুলের বাবা মুসলেম উদ্দীন, দিনাজপুর পৌর শহরের পাহাড়পুর মহল্লার শহীদ রুদ্র সেনের বাবা সুবীর কুমার সেন, বীরগঞ্জ উপজেলার সেনগ্রাম গ্রামের শহীদ আল আমিন সরকারের স্ত্রী মোছা. সুমাইয়া আক্তার, ঢাকার বনশ্রী এলাকার জি ব্লকের বাসিন্দা শহীদ আশিকুল ইসলামের মা আরিশা আফরোজ, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহীদ সুমন পাটোয়ারীর বাবা ওমর ফারুক, বিরল উপজেলার নোনা গ্রামের শহীদ আসাদুল হক বাবুর স্ত্রীর শারমিন আক্তার, একই উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের এম নাগর বাড়ী গ্রামের শহীদ জিয়াউর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার ও একই উপজেলার বিরল ইউনিয়নের মধ্য করলা গ্রামের শহীদ মাসুম রেজা অন্তরের বাবা মিজানুর রহমান।
ঢাকা/মোসলেম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’
কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’
ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’
তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা/আকাশ/বকুল