বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে ‘পুশইন’ বিএসএফের
Published: 14th, May 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে তাদের পুশইন করা হয়। এ সময় বিজিবি তাদের আটক করেছে। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
এর আগে গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে পুশইন করে বিএসএফ। তবে ৫৯ জনকে আটক করে বিজিবি। বিজিবি তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এরপর পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএসএফ নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে পুশইন করে। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু।
আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা কাজের জন্য অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। সীমান্তের ওপারে আরও অনেককে আটক করে রেখেছে বিএসএফ। তাদেরও পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বুধবার বিকেলে বলেন, ‘আজ ভোরে আরও ৪৪ জনকে বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করেছে। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক।’
এ বিষয়ে বিজিবি-৫২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা বাংলাদেশি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ ব এসএফ বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি সীমান্তে করতোয়া ও সাও নদীর মোহনা থেকে মানিক হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ ও বিজিবি। ওই যুবক দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন স্থানীয়রা। তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মানিক হোসেনের বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তে একদল চোরাকারবারি গরু আনতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামে একজনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এখনো আরো দুজন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইবুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় মানুষদের একটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই দিন থেকে চারজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করছি, বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা মানিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই যুবকের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মাথার পেছনে গুলি ঢুকে চোখের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। আগে তার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেছেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ভারতের অভ্যন্তরে আটক করে একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।
ঢাকা/নাঈম/রফিক