আকবরের সেঞ্চুরি, তবু হেরে গেল বাংলাদেশ
Published: 14th, May 2025 GMT
আগের ম্যাচেও ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ওই ম্যাচে ২৪ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে ভূমিকা রেখেছিলেন আকবর আলী। আজ ৩৩২ রান তাড়া করতে নেমে সেই আকবর করেছেন সেঞ্চুরি, তবু দলকে জেতাতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ৫০ ওভারের তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ১০ রানে। আপাতত সিরিজ ১-১ সমতায়।
রাজশাহীতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৩২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৯ বলে ৯৬ রান করেন ডিয়ান ফরেস্টার, দলের হয়ে যেটা সর্বোচ্চ স্কোর। মূলত তাঁর ব্যাটে চড়েই ৩০০ পার হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। মারুফ মৃধার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬৮ বলে ৯১ রান করেন কনর ইস্টারহুইজেন। মারুফ, রিপন মণ্ডল আর মাহফুজুর রাব্বি প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুনরেকর্ড ৬ কোটি রুপিতে দিল্লির হয়ে আইপিএল খেলবেন মোস্তাফিজ২ ঘণ্টা আগেতাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জিসান আলম হাফ সেঞ্চুরি করলেও ৮৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আরিফুল ইসলামকে নিয়ে এরপর দলের হাল ধরেন আকবর আলী। দুজনের ১১১ রানের জুটিটি ভাঙে ৫৯ বলে ৩৫ রান করে আরিফুল ফিরে গেলে।
তবে হাল ছেড়ে দেননি আকবর। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কখনো সেঞ্চুরি না পাওয়া আকবর পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১১০ বলে করেন ১৩১ রান।
তাঁর বিদায়ের পর বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। ভালো খেলতে থাকা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানও ৪১ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান।
৩১ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতেই ৩২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে মোকগাকানে নেন ৫ উইকেট।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা
নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায় বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।
পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ