শেষ মুহূর্তে রিয়ালের জয়, উৎসবের অপেক্ষা বাড়ল বার্সার
Published: 15th, May 2025 GMT
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাকিয়ে ছিলেন বার্সেলোনার খেলোয়াড় থেকে সমর্থকেরা। ১১ মিনিটে সেন্টারব্যাক মার্তিন ভালিয়েন্তের গোলে মায়োর্কা এগিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চয়ই আনন্দে মেতেছিল কাতালান শিবির। ১–০ গোলে পিছিয়ে রিয়াল প্রথমার্ধ শেষ করার পর তাঁরা হয়তো লিগ জয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বেরসিক রিয়াল মাদ্রিদ তা হতে দেয়নি।
আরও পড়ুনসিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে কবে ঢাকায় আসবেন হামজা১০ ঘণ্টা আগেবিরতির পর ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও যোগ করা সময়ে (৯৫ মিনিট) ২০ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ইয়াকোবো রামনের গোলে শেষ পর্যন্ত ২–১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল। ফলে লা লিগা শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে উঠতে বার্সাকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
গতকাল রাতে মায়োর্কার কাছে রিয়াল হারলেই লিগ জয় নিশ্চিত হতো হান্সি ফ্লিকের দলের। কিন্তু ড্র করতে করতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা জয় তুলে নেওয়ায় বার্সার জন্য স্রেফ অপেক্ষাই বাড়ল। সেটাও বেশি দিনের জন্য নয়। আজ রাতে কাতালান ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে জিতলেই নিজেদের ২৮তম লিগ জয় নিশ্চিত হবে বার্সার।
গোল পেয়েছেন এমবাপ্পেও.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব
অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব হলো রাজধানীতে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আলোচনায় রোববার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্যাপন করা হলো ঋতুভিত্তিক এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
হেমন্তের বেলা শেষে ষড়ঋতু উদ্যাপন জাতীয় পর্ষদ আয়োজিত নবান্ন উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর ছিল ফারহানা করিমের নেতৃত্বে সমবেত নৃত্য।
নবান্নকথনে অংশ নেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে অগ্রহায়ণে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠে। নতুন ধান তাঁদের জীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। নিয়ে আসে আনন্দ। তবে নবান্ন কেবল ফসলের আনন্দই নয়, আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি শক্তিশালী উপাদান। নাগরিক পরিবেশে ঋতুভিত্তিক এই উৎসবকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বসন্ত, বর্ষা, শরৎসহ ঋতুভিত্তিক উৎসবগুলো আয়োজন করা হবে।’
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও মঞ্চের চারপাশের স্থান বর্ণাঢ্যভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির স্টল।
আলোচনার পরে শুরু হয় গানের পালা। সাগর বাউল শুরু করেছিলেন ভবা পাগলার গান ‘বারে বারে আসা হবে না’ গেয়ে। এরপর তিনি পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘লোকে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘অবলারে কান্দাইয়া’। ঢোল, একতারার বাজনা, বাঁশির সুর আর লোকসাধকদের এসব মরমি গানে গানে সাগর বাউল শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশনের কথা ছিল শিল্পী ফেরদৌস আরার। তবে তিনি অসুস্থতার জন্য সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি। এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানান।
লোকশিল্পী আলেয়া বেগম পরিবেশন করেন ‘মালা কার লাগিয়া গাঁথি’সহ বেশ কয়েকটি গান। গানের ফাঁকে ফাঁকে ছিল আবৃত্তি ও কবিদের কবিতা পাঠ। এই পর্বে অংশ নেন কবি রাসেল রায়হান, রিক্তা রিনি, সানাউল্লাহ সাগর, জব্বার আল নাইম, ইসমত শিল্পীসহ অনেকে।
সংগীতশিল্পীদের মধ্যে কোহিনূর আক্তার পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘তিন পাগলের হইল মেলা’। ডলি মণ্ডল পরিবেশন করেন ‘সব লোক কয় লালন কী জাত সংসারে’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ষড়ঋতু উদ্যাপন জাতীয় পর্ষদের সদস্যসচিব দীপান্ত রায়হান।
শীতের মৃদু পরশ লেগেছে রাজধানীর হাওয়ায়। হালকা কুয়াশাও জমছে আকাশে। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে সুরে-ছন্দে বেশ খানিকটা রাত অবধি জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই নাগরিক নবান্ন উৎসব।