ভুটানের উইমেন্স ফুটবল লিগে প্রতিপক্ষকে গোলবন্যার ভাসিয়েছেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমারা। বৃহস্পতিবার স্যামতসে এফসিকে ২৮-০ গোলের বিশাল হারের লজ্জায় ডুবিয়েছে পারো এফসিতে খেলা বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে ২৫ গোলই করেছেন পারোতে খেলা বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার।

ওই চার ফুটবলার হলেন- সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, মাতসুষিমা সুমাইয়া ও ঋতুপর্ণা। তারা চারজনই হ্যাটট্রিক করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাফ জয়ী সাবেক অধিনায়ক সাবিনা সর্বাধিক ৯ গোল করেছেন। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৭ গোল এসেছে মনিকা চামকার থেকে। সুমাইয়া ও ঋতুপর্ণা যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি গোল করেছেন।

তাদের এই গোলের যাত্রা ম্যাচের অষ্টম মিনিটে শুরু হয়। প্রথম গোলটি করেন সাবিনা। ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় ও ৩১ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে ফেলেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে সাবিনা ডাবল হ্যাটট্রিক ও ম্যাচ শেষের আগে হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

অন্য দিকে মনিকা গোলের খাতা খোলেন ম্যাচের ১৯ মিনিটে। এরপর ২৮ ও ৩৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক হয় তার। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩  মিনিটে ডাবল হ্যাটট্রিক করেন তিনিও। সুমাইয়া গোলের খাতা খোলেন ৩৬তম মিনিটে, ৩৮ ও ৫২ মিনিটে হ্যাটট্রিক হয় তার। ঋতুপর্ণা দ্বিতীয়ার্ধে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান। ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় ৭৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

দুঃখ প্রকাশ করলেন আইন উপদেষ্টা

চিকিৎসকদের নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ‘ডাক্তার প্রসঙ্গ’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন তিনি। রাইজিংবিডি পাঠকদের জন্য তার পোস্ট তুলে ধরা হলো:

‘‘গতকাল একটি অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। প্রথমে রোগী হিসেবে আমার ভালো অভিজ্ঞতার কথা বলেছি। তারপর অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জানা কিছু সমালোচনার কথা বলেছি।

সেখানে আমি বলেছি, এই সমালোচনাগুলো সব ডাক্তারদের জন্য প্রযোজ্য না। বলেছি, অনেক ডাক্তার আছেন ভালো, কিন্তু অন্য অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগও আছে। কিছু অভিযোগ স্টেটমেন্ট আকারে বলেছি, কিছু প্রশ্ন আকারে।

পত্রপত্রিকা যখন এগুলো ছাপিয়েছে তখন আমার সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেনি। ফলে কারো কাছে মনে হতে পারে যে, রোগীর কথা মন দিয়ে না শোনা, বেশি টেস্ট করতে দেওয়া বা ঔষধ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ- আমি এসব অভিযোগ ঢালাওভাবে সব ডাক্তারদের সম্পর্কে করেছি।  কিন্তু এটি ঠিক নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাচ্ছি, আমার এসব অভিযোগ এক শ্রেণির ডাক্তারদের বিরুদ্ধে, সব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে না।

আমার বক্তব্য যেভাবে কিছু পত্রিকা ছাপানো হয়েছে, মনে হতে পারে অভিযোগগুলো সবার উদ্দেশ্যে করা। প্রচণ্ড ত্যাগ, সততা আর দক্ষতা নিয়ে এ দেশের যে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার রোগীদের সেবা করেন, তাদের কাছে এটি গভীর মনোবেদনার কারণ হতে পারে।

এমন ডাক্তার ভাই-বোনদের কাছে আমি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে, কিছু কিছু ডাক্তারের (তারা সংখ্যায় কম হতে পারেন) ক্ষেত্রে এসব অভিযোগ সত্যি কি-না তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধও তাদের কাছে করছি।’’

এর আগে, আসিফ নজরুলের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। তারা উপদেষ্টার বক্তব্যকে চিকিৎসকদের জন্য ‘অবমাননাকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিপিএইচসিডিওএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের?...আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ