Samakal:
2025-11-02@00:30:09 GMT

‘পথের বিপদ’ এবার কম

Published: 31st, May 2025 GMT

‘পথের বিপদ’ এবার কম

চট্টগ্রাম নগরের নূর নগর হাউজিং সোসাইটি। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী গরুর হাটটি বসে এখানে। হাটের প্রবেশ মুখেই পুলিশের ছাউনি। যেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বসে আছেন। আরেকটু এগুতেই ইজারাদারের ছাউনি। সেখানেও কয়েকজন লোক বসে আছেন। এরপরই থেকেই শুরু হয়েছে হাট। বাঁশের খুঁটি ও ত্রিপল দিয়ে বড় ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গরু বেঁধে রেখেছেন ব্যাপারীরা। তাদের একজন আব্দুর রাজ্জাক। গরুর মুখে খড় তুলে দিচ্ছিলেন তিনি। পাঁচ দিন আগে ১৪টি গরু নিয়ে তিনি এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। এর মধ্যে তিনটি গরুর দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। প্রতিটি পাঁচ লাখ টাকা করে। এখনও পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি করতে পারেননি তিনি। জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশ অস্থিতিশীল, নানা ঘটনা ঘটছে। পথে বিপদ-আপদের কথা চিন্তা করে আগেভাগে চলে এসেছি। আল্লাহর রহমতে কোনো অসুবিধা হয়নি। আশা করছি, গরুগুলো বিক্রি করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব।’
শুধু আব্দুর রাজ্জাক নন, পথের বিপদ নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন আরও অনেক ব্যাপারী। কিন্তু পথে তাদের কাউকে বিপদে পড়তে হয়নি। কোনো চাঁদাবাজি কিংবা হয়রানির শিকার হতে হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশুর হাট ও পশু বহনকারী গাড়ি আটকে চাঁদাবাজি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশুর বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দু’জন উপ-পুলিশ কমিশনার, একজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও একজন পরিদর্শককে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তাদের মোবাইল নাম্বারও দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের হয়রানিসহ চাঁদাবাজির শিকার হলে তাৎক্ষণিক তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
নগরে বসেছে ১৩ পশুর হাট: চট্টগ্রাম নগরে ১৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে তিনটি স্থায়ী হাট। বাকি ১০টি অস্থায়ী হাট। অস্থায়ী হাটগুলো গত বৃহস্পতিবার বসেছে। স্থায়ী হাটগুলো হলো–সাগরিকা গরু বাজার, বিবিরহাট গরু বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগল বাজার। অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে– নগরের এক কিলোমিটার নূর নগর হাউজিংয়ে কর্ণফুলী পশু বাজার, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদপাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, ৩৯ ওয়ার্ডের আউটার রিং রোড সিডিএ বালুর মাঠ, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম হালিশহর মুনির নগর আনন্দবাজার সংলঘ্ন রিং রোডের পাশে খালি জায়গা, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের গলাচিপা পাড়া বারনিঘাটা রোডের পাশে মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বাটারফ্লাই পার্কের উত্তরে চেয়ারম্যান মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া আলমগীর সাহেবের মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল এলাকার খালপাড় অস্থায়ী পশু বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিংয়ের পাশে খালি মাঠ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধুমপাড়া রেজাউল আমিন মাঠ। 
জমে ওঠার অপেক্ষায় হাট: নগরের কর্ণফুলী পশুর হাট। পশুর হাটের ভেতর চিরচেনা সেই জমজমাট পরিবেশ নেই। সারি সারি বাঁশের খুঁটি থাকলেও অনেকগুলোই ফাঁকা। দরদাম নিয়ে কোনো হাঁকডাক নেই। ব্যাপারী থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। যে ক’জন এসেছেন তারা ভিড় জমিয়েছেন হাটের বড় আকারের গরুর চারপাশে। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে সেই গরুর ছবি তুলে নিচ্ছিলেন। বিক্রেতারা জিলহজের প্রথম শুক্রবার বাজার জমে ওঠার প্রত্যাশা করলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা হয়নি। ক্রেতা যেমন কম এসেছে, তেমনি বিক্রেতাও ছিলেন কম। 
ভোলার লালমোহন থেকে ১০টা গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে হাটে এসেছি। ভেবেছিলাম আগেভাগে গরু বিক্রি হলে আবার এলাকায় গিয়ে নিয়ে আসবো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরুর খাবার ও আমাদের থাকা-খাওয়ার পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতা এলেও তারা কম দামে গরু নিতে চাচ্ছেন। কেনা দামও কেউ মূল্য হাঁকছেন না। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে বাজার জমে উঠবে।’  
চট্টগ্রাম নগরের পশুর হাটগুলোতে শহরের আশপাশের উপজেলার পাশাপাশি কুমিল্লা, নাটোর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ভোলা, রাজশাহী, নওগাঁও থেকে গরু নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। চট্টগ্রামেও এসব অঞ্চলের গরুর চাহিদা রয়েছে। কুষ্টিয়া, ভোলা ও কুমিল্লা থেকে আসা তিন ব্যাপারী জানান, এবার সড়কপথে নির্বিঘ্ন গরু নিয়ে এসেছেন। কোনো ধরনের বাধাবিপত্তির মুখে পড়েননি। 
গরু রাখার জন্য হাটের নির্দিষ্ট অংশ মাটি ভরাট করে উপযুক্ত করে তুলছিলেন আনোয়ারা থেকে আসা ব্যাপারি মো.

ইদ্রিস। তিনি বলেন, ‘গরু আনার সময় কোথাও চাঁদাবাজির শিকার হয়নি। কারো কাছ থেকে তেমন অভিযোগ শুনিওনি। হাটে গরু বিক্রি জমবে আরও তিন-চারদিন পর।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গর র হ ট এস ছ ন নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন

যমুনা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা। খবর বিজ্ঞপ্তি

যমুনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, মো. বেলাল হোসেন ১৯৫৬ সালে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে তাঁর পরিবারের দেশ-বিদেশে সুনাম আছে। পরিবারের মালিকানাধীন বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খাদ্যশস্য শিল্প। তিনি একজন বিশিষ্ট আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক। বর্তমানে তিনি বেলকন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, বিএইচ হাইটেক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, নাদিয়া ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ও বিএইচ স্পেশালাইজড কোল্ডস্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বেলাল হোসেন নওগাঁ, দিনাজপুর ও হিলি অঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদের এডিজিপি ফেলো মেম্বারশিপ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৫ সালে এফএনএস বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে সেরা কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পান।

বেলাল হোসেন নওগাঁ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, নওগাঁ এবং বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী সদস্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির
  • কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
  • প্রশিক্ষকদের দায়িত্বে উদাসীনতাসহ যেসব অসংগতি উঠে এল প্রাথমিক তদন্তে
  • চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
  • চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি
  • মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
  • যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন