কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগায় ঈদুল আজহার জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়। আজ বুধবার সকালে শোলাকিয়া ঈদগায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

এবারের ১৯৮তম জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। জেলা প্রশাসক ছাড়াও ঈদগায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন ঢাকা ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজেম উদ্দীন ও র‌্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানা জানিয়েছেন, ঈদগার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই ঈদেও দূরবর্তী মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ঈদের দিন সকালে ময়মনসিংহ ও ভৈরবে থেকে কিশোরগঞ্জে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দু’টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন আসবে। জামাত শেষে মুসল্লিদের নিয়ে ট্রেন দু’টি আবার গন্তব্যে ফিরে যাবে। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ফায়ার সার্ভিস টিম মোতায়েন থাকবে।

পুলিশ সুপার কাজেম উদ্দীন বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে ৬ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা, ৭টি ড্রোন ক্যামেরা, ৭টি ভিডিও ক্যামেরা, ৫০টি মেটাল ডিটেক্টর, ৮টি আর্চওয়ে এবং চারটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। স্থাপন করা হবে কন্ট্রোল রুম।

র‌্যাব কমান্ডার আশরাফুল কবির জানিয়েছেন, ঈদের দিন ৬০-৭০ জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকেও মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি করা হবে। র‌্যাবের পক্ষ থেকেও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। থাকবে দু’টি ওয়াচ টাওয়ার।

তিনি বলেন, গত ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল সুন্দর আবহাওয়ায়। এবার টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে আছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মুসল্লিদের এই কাদা-পানি মাড়িয়েই জামাতে অংশ নিতে হবে। অবশ্য এর আগেও লাখ লাখ মুসল্লি মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে এই ঈদগায় নামাজ আদায় করেছেন। ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি আসলেও কোরবানির ব্যস্ততার কারণে ঈদুল আজহার জামাতে সবসময়ই মুসল্লি কম আসেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক য ঈদগ হ ঈদ ল আজহ ঈদগ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ