সাড়ে ৫ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ
Published: 17th, August 2025 GMT
সাড়ে পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রোববার বিকেলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে বলে স্থানীয় আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানির জন্য সাতটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়, মেসার্স নাশাত ট্রের্ডাস, এমএসআল মক্কা ইমপ্রেস, মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায়, ক্রাউন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, আনাস গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড ও রাধে-শ্যাম অ্যান্ড সন্স। রাধে-শ্যাম অ্যান্ড সন্স ৫০ মেট্রিক টন ও অন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠান ৩০ মেট্রিক টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আর কোনো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে অনুমতি দিলে সেটা বিকেলে জানা যাবে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এরপর দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেননি। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি। আজ বিকেলে একটি ট্রাকে এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি কত দামে বিক্রি হবে, সেটি বন্দরের শুল্ক স্টেশন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের শুল্কায়নের পর লাভ রেখে নির্ধারণ করা হবে।’
বিরামপুরের কাটলাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী এস্তামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। শুনেছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে। ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকলে খুচরা বাজারেও দাম কমতে শুরু করবে। তখন আগের দামে কেনা পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় জ আমদ ন র ম ট র ক টন
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা
সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়দের চাহিদা নিরুপনে নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
পূজার ছুটির পর গকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক
নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ ২ দল
সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, টিআইবি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, একশনএইড প্রতিনিধি সুইট খান, ইয়ূথ সভাপতি সাকিব হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরি। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে।
তারা বলেন, রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করতে হবে, যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবন বাঁচাতে জীবশ্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরি, প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যবর্ধন, যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুববান্ধব স্পেস তৈরি ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন বক্তারা।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী