বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি ছাত্র পরিষদের (বিসিএসিপি) ২০২৫–২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি শপথ গ্রহণ করেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা হলেন সভাপতি মো.

শামসুজ্জামান আকতার, সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন ভুঁইয়া, সহসভাপতি আজাদ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল্যাহ আল রোম্মান, যুগ্ম সম্পাদক মো. রাজিবুল আলম ও মো. হাসিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু রাইহান, কোষাধ্যক্ষ মো. আলাল উদ্দীন, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক প্রোসনজিৎ সাহা, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ নুর হাসান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রাকিব চৌধুরী ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহম্মদ। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান, এম এ ফাত্তাহ, মো. তৌফিকুল ইসলাম, মো. রাসেল মিয়া, আবদুল ওহাব, মাহাথির মোহাম্মদ বিন ইসলাম, ফেরদৌস জাহান ও রাফেজা খাতুন।

আইসিএবির প্রেসিডেন্ট এন কে এ মোবিন সদস্যদের শপথ পাঠ করান। এ সময় আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রুকনুজ্জামান ও ডিআরসি–আইসিএবির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, কাউন্সিলরসহ অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য আব্দুর রহমান, এম এ কাইউমসহ বাংলাদেশ সিএ ছাত্র পরিষদের সাবেক নেতারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডহক কমিটির প্রধান মো. রেজাউল আজাদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে টাস্কফোর্সের অভিযানে আরও ৩৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার, আটক ২

সিলেটে টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৩৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।

সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গত বুধবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে টাস্কফোর্স ও যৌথ বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে আজ পঞ্চম দিনের মতো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।

অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আজ সকালে সদর উপজেলার ধোপাগুল–সংলগ্ন সালুটিকর ভাটা এলাকায় সিলেটের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (রাজস্ব, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা ছিলেন। অভিযানে পাথর ভাঙার কারখানার (স্টোন ক্রাশার মিল) আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া পাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, উদ্ধার হওয়া পাথরগুলোর মধ্যে ৯টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ঘনফুট পাথর ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটক দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি ও কালীবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) তমালিকা পাল বলেন, উদ্ধার হওয়া পাথরের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ২০ হাজার ঘনফুট পাথর কালীবাড়ি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিম্মায় আছে। সেগুলোও সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে গোয়াইনঘাটের জুমপার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার হওয়া পাথরের মধ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ ঘনফুট পাথর জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পাথর উদ্ধারের পাশাপাশি নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা ৫০টি নৌকা আটক করে ধ্বংস করা হয়েছে।

সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর ও বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) আছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর আছে। এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।

সিলেটের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব সময় পাথর উত্তোলনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। বিগত পাঁচ বছরে তাঁরা নানাভাবে কোয়ারি ইজারা আবার চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাতের বেলা আড়ালে–আবডালে মানুষ অবৈধভাবে পাথর তুলতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট চলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ