সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির কাছে ১৪ জনকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
Published: 22nd, June 2025 GMT
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলার কুশখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাঁদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির প্রেস উইং কর্মকর্তা মিলন হোসেন বলেন, বিএসএফের হস্তান্তর করা ১৪ জনই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক। তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাঁদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের বাড়ি ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, গাজীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁদের কেউ ভারতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। আবার কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক এক নারী বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ওই দেশের পুলিশের হাতে আটক হন। আরেক পুরুষ বলেন, চার বছর আগে তিনি কাজ করার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ বাংলাদেশিকে গ্রহণ করে বিজিবি এবং গতকাল রাত ৯টার দিকে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরের পর স্বজনদের কাছে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁদের টানে দেশে ফিরলেন, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার
ওমানপ্রবাসী আবদুল বাহার স্বজনদের সঙ্গে ফিরছিলেন বাড়িতে। মা, স্ত্রী, মেয়ে, নানি, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের মেয়ে সবাই ছিলেন সঙ্গে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে অনেক হাসিঠাট্টা, খুনসুটি চলছিল। কিন্তু কে জানত মুহূর্তেই এই আনন্দের পরিবেশ পরিণত হবে বিষাদে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে এসে পৌঁছায় বাহারের নানি ফয়জুন নেসা (৮০), মা খুরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (৩০), মেয়ে মীম আক্তার (২), ভাতিজি রেশমি আক্তার (১০), ভাবি লাবনী বেগম (৩০) এবং লাবনীর মেয়ে লামিয়া আক্তারের (৯) মরদেহ।
ওমান থেকে দেশে ফেরা আবদুল বাহারকে আনতে ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে ফেরা আনন্দে শেষতক নেমে এল মৃত্যুর ছায়া। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর এলাকায় বাড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি খালে পড়ে। বাহার ছাড়া পরিবারের কেউই ফিরে আসেননি।
গতকাল সকালে বাহারদের বাড়ির ছোট উঠানজুড়ে সারি সারি সাতটি লাশ এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে সকালেই লোকজন জড়ো হয়েছেন। শেষযাত্রার কিছু আয়োজনও সম্পন্ন হয়েছে। এক পাশে গোসলের জন্য টানানো হয়েছে শামিয়ানা। উঠানে পাতা হয়েছে চেয়ার। সবকিছুর মধ্যে নিদারুণ এক শোকের বার্তা।
যাঁদের জন্য প্রবাস থেকে ফেরা, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার। দুই বছরের মেয়ে মীমকে ভালো করে একটু বুকে জড়িয়ে আদরও করা হলো না। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একসঙ্গে জানাজা হয় ছয়জনের। বাহারের নানি ফয়জুন নেসার লাশ নেওয়া হয় পাশের ইউনিয়ন হাজির পাড়ায়। বাকিদের দাফন হয় জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে।
পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দুটো কবর, সামান্য দূরেই চারটি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানেই একে একে মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীমসহ নিহত স্বজনদের শুয়ে দেন বাহার।
চৌপল্লী গ্রামে মানুষের ভিড়। এত মৃত্যু একসঙ্গে আর দেখেনি কেউ। শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল বিকেলে