সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলার কুশখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাঁদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির প্রেস উইং কর্মকর্তা মিলন হোসেন বলেন, বিএসএফের হস্তান্তর করা ১৪ জনই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক। তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাঁদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিদের বাড়ি ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, গাজীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁদের কেউ ভারতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। আবার কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক এক নারী বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ওই দেশের পুলিশের হাতে আটক হন। আরেক পুরুষ বলেন, চার বছর আগে তিনি কাজ করার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ বাংলাদেশিকে গ্রহণ করে বিজিবি এবং গতকাল রাত ৯টার দিকে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরের পর স্বজনদের কাছে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা 

দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক

বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
  • জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ