রান্নার জন্য রাখা হয়েছিল ১০ কেজি মরা মুরগি, ইউএনওর অভিযানে জরিমানা
Published: 22nd, June 2025 GMT
নাটোরের নলডাঙ্গায় খাবারের হোটেলে রান্নার জন্য রাখা হয়েছিল ১০ কেজি মরা মুরগি। তবে সচেতন একজন ক্রেতার চোখে ধরা পড়ে যায় সেই অনিয়ম। খবর পেয়ে তৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে হোটেল মালিককে।
রোববার বিকেলে উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে ফজল আলীর হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদুয়ানুল হালিম। হোটেল মালিক অপরাধ স্বীকার করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা মরা মুরগিগুলো ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নলডাঙ্গা বাজারের একটি হোটেলে ১০ কেজি মরা মুরগি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রগ
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক