বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে। এ জন্য ইতিহাসকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতের পথে এগোনো দরকার। রোববার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে অর্পণ আলোক সংঘের উদ্যোগে ‘শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করার প্রবণতা থেকেই দেশে মেধা পাচারের ঘটনা ঘটছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের দেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে একবার বিদেশে গেলে মেধাবীরা আর ফিরে আসতে চান না। আমি অনেক দেশ দেখেছি, সেসব দেশের মেধাবীরা অন্য দেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান নিয়ে এসে নিজের দেশকে উন্নয়ন করছেন।

মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে মাতৃভাষায়। আমরা অবশ্যই সেকেন্ডারি শিক্ষা গ্রহণ করব, তবে যদি বিদেশি ভাষায় প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি লেভেল বা হায়ার সেকেন্ডারি পড়তে যাই, সে ক্ষেত্রে মেধার বিকাশটা হবে না।

অর্পণ আলোক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা বীথিকা বিনতে হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার উপাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত শিক্ষক আবদুর রহিমের মেজ ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মিজানুর মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিজানুর রহমান বাড়ির পাশে একটি বিলে শাপলা তুলতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর হদিস পাননি। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গতকাল রাত ৯টায় ওই বিলের পানিতে তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব সহজ-সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। সাঁতার জানতেন না। ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকাহত।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ