রাজধানীর বংশালের নাজিরাবাজার এলাকার রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পড়ে অচেতন হন তিনি। স্থানীয় লোকজন বাঁশ দিয়ে পানির ভেতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আমিন হোসেন (৩০)। তিনি একটি বেকারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানীতে গতকাল রোববার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ ভোরের দিক থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে ঢাকার অনেক সড়কে পানি জমে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এর মধ্যে বংশালের নাজিরাবাজার এলাকায় একজন মারা গেলেন।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল রায় প্রথম আলোকে বলেন, নাজিরাবাজার এলাকা দিয়ে আমিন বাইসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে পড়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় লোকজন বাঁশের সাহায্যে পানির ভেতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এসআই সজল রায় আরও বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমিন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

ময়নাতদন্তের জন্য আমিনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এসআই সজল রায়।

আমিনের দুলাভাই সুমন মিয়া বলেন, বেকারির মালামাল সরবরাহ করতে সকালে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন আমিন। পরে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এক মাস আগে আমিন বিয়ে করেছিলেন বলে জানান সুমন মিয়া। আমিনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম বাদশা আকন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক পোশাককর্মীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ১৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম জোন)। এ সময় দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোবাইল চুরি ও বিক্রয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিএমপি ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন ও চৈতন্য গলি এলাকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন জাহাঙ্গীর কলোনির টিনশেড বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক আকবর হোসেনের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। অসহায় এই শ্রমিক প্রায় ২০ দিন পর তার মোবাইল ফোন উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের শরণাপন্ন হন। 

অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে ডিবি পশ্চিম জোনের এসআই মো. ইমাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক ধীমান মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পোশাককর্মী আকবরের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসহ ৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল মিয়া (৩৩) নামের মোবাইল চোর চক্রের এক সদস্যকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড ও চৈতন্য গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্য আবদুল হাকিম (২৭) ও মো. ইয়াছিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি আইফোন ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা। 

আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় চার মাজারে হামলার তিন দিন পর গ্রেপ্তার ২
  • বৈষম্যবিরোধী মামলায় কুবি কর্মচারী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
  • মায়ের কোলে ১১ দিনের নবজাতক, প্রিজন ভ্যানে চেপে কারাগারে
  • গোপালগঞ্জে দু শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের কবলে: ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ
  • শ্রীপুরে মাদক উদ্ধার অভিযানে হামলা, দুই এসআই আহত, বাবা–মা ও দুই ছেলে গ্রেপ্তার