‘রাজার অতিথি’ হওয়ার সুযোগ কমনওয়েলথ স্কলারশিপে, আবেদন কীভাবে
Published: 22nd, September 2025 GMT
অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমানে মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি শাবিপ্রবিতে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ ও ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ মেডেল পান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মেরিট স্কলারশিপও পেয়েছেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছেন দুবার। ২০০৯ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপে ইংল্যান্ডের লিডস মেটের স্কুল অব অ্যাপ্লায়েড গ্লোবাল এথিকস থেকে পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে মেরিটসহ মাস্টার্স এবং ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ বছর ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেওয়া সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ক্যাটাগরিতে ‘স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড’–এর ফাইনালিস্ট হন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলার অ্যান্ড ফেলোর আজীবন সদস্য।
২০২৬ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য ইউজিসি (https://ugc.
প্রথম আলো :
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছু বলুন।
মোহাম্মদ জহিরুল হক: কমনওয়েলথ স্কলারশিপ হচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকারের দেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বৃত্তিগুলোর একটি। যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসেবে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে অসামান্য প্রতিভাবান মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়। ১৯৬০ সালে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী ও গবেষককে এ বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপ’-এর যাত্রা শুরু হয়। গত বছর (২০২৪ সাল) পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্য থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছেন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্য থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছেনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর জ য ব শ বব দ য শ বব দ য ল প এইচড
এছাড়াও পড়ুন:
ধ্বংসস্তূপেই ঋত্বিকের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন, পৈতৃক ভিটায় চলচ্চিত্র কেন্দ্র নির্মাণের দাবি
যেখানে থাকার কথা ছিল উৎসবের আবহ, সেখানে কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছার জঙ্গল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের জন্মশতবার্ষিকীতে সেই ধ্বংসস্তূপের ওপরই জ্বলে উঠল মোমবাতির আলো।
রাজশাহীতে তাঁর গুঁড়িয়ে দেওয়া পৈতৃক ভিটায় দাঁড়িয়েই সাংস্কৃতিক কর্মীরা কিংবদন্তি এই নির্মাতার স্মৃতি রক্ষা এবং সেখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র কেন্দ্র নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে রাজশাহী নগরের মিঞাপাড়ায় ঋত্বিকের পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসস্তূপে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
‘ঋত্বিক শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম। এরপর গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়ির ইটের স্তূপে মোমবাতি প্রজ্বালন করে ঋত্বিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে রাতে ঋত্বিকের নির্মিত চলচ্চিত্র ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ প্রদর্শন করা হয়। ঋত্বিকের বাড়ির গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটের স্তূপের ওপর টানানো হয় উৎসবের ব্যানার। টানানো হয় ঋত্বিকের সিনেমাকর্মের পোস্টার ও ঋত্বিকের পোর্ট্রেট ছবি। সন্ধ্যায় ইটের স্তূপই মোমবাতিতে আলোকিত হয়ে ওঠে।
ঋত্বিক ঘটক জীবনের শুরুর সময়টা কাটিয়েছেন রাজশাহীর এই পৈতৃক বাড়িতে। এ বাড়িতে থাকার সময় তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে পড়েছেন। রাজশাহী কলেজ ও মিঞাপাড়ার সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে কালজয়ী কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নাট্যচর্চা করেছেন। ওই সময় ‘অভিধারা’ নামে সাহিত্যের কাগজ সম্পাদনা করেন ঋত্বিক। তাঁকে ঘিরেই তখন রাজশাহীতে সাহিত্য ও নাট্য আন্দোলন বেগবান হয়। এ বাড়িতে থেকেছেন ঋত্বিক ঘটকের ভাইঝি বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরের মিঞাপাড়ার এই বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ ওঠে পাশের রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করে, তাদের সাবেক কিছু শিক্ষার্থী এ কাজ করেছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার সুপারিশ বাস্তবায়নে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাড়িটির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৯৮৯ সালে বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি কলেজকে ইজারা দেয় সরকার। ২০১৯ সালে এর একাংশ ভেঙে সাইকেল গ্যারেজ তৈরির চেষ্টা হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে ২০২০ সালে জেলা প্রশাসন বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। বিগত সরকারের একজন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী স্থানটি পরিদর্শন করে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরের মিঞাপাড়ার এই বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ ওঠে পাশের রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করে, তাদের সাবেক কিছু শিক্ষার্থী এ কাজ করেছেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা ঋত্বিকের স্মৃতি রক্ষায় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, ‘ঋত্বিক কুমার ঘটক’–এর পৈতৃক বসতভিটা ভাঙার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বসতবাড়ির টিকে থাকা অংশের (০.১৬০৩ একর) জমি সংরক্ষণ করে তাতে পরবর্তী সময় ঋত্বিকের নামে চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ওই জমি অবমুক্ত ঘোষণা করতে হবে।
রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে এই জমি ইজারা পায়। এই ইজারা পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং ইজারা বাতিল করে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহীর নামে স্থায়ী ব্যবস্থা অথবা/এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রথমেই ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈতৃক নিবাসের অবশিষ্ট অংশটুকুর (০.১৬০৩ একর) চারদিকে উচ্চ সীমানাপ্রাচীর দিয়ে সংরক্ষিত করতে হবে। একই সঙ্গে ‘ঋত্বিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান’ লেখাসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে। এই অংশে প্রবেশের জন্য বড় রাস্তার পাশে একটি গেট তৈরি করতে হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহী নগরের মিঞাপাড়ায় ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে