প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে এটিইও’র ফলাফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬১৪
Published: 21st, September 2025 GMT
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার–এটিইও’ (১০ম গ্রেড)–এর প্রাথমিক (এমসিকিউ) বাছাই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল অনুযায়ী মোট ১ হাজার ৬১৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজ রোববার বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন–পিএসসির ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষার জন্য সাময়িকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএ সপ্তাহে (১২ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) সেরা সরকারি চাকরি, পদ ৪ হাজার১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫এদিকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন অনেক আবেদনকারী। এর প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে। ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এরই মধ্য আজ ফলাফল প্রকাশ করা হলো।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২ ঘণ্টা আগেলিখিত পরীক্ষার বিবরণ—লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ২০০ নম্বরের। এর মধ্যে বাংলা-৫০, ইংরেজি-৫০, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি)-৪০, গণিত ও মানসিক দক্ষতা-৬০। লিখিত পরীক্ষার স্থান, তারিখ, সময়সূচি এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে (bpsc.
বাছাই পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে মূল আবেদনপত্র (Form 5 - Application Copies) ডাউনলোড করে ১২ থেকে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে (অফিস চলাকালীন) বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
*এটিও পরীক্ষার ফল দেখুন এখানে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ স প ট ম বর পর ক ষ র ফল ফল সহক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানবব
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুজাউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কাঁকনহাট সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পৌরসভা সদরের গোডাউন মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে একটি মিছিল নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অংশগ্রহণকারীরা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কাঁকনহাট পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক। কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. আলাউদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, কাঁকনহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর সেলিম উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মামুন অর রশিদ, সোবহান আলী, আসাদুল্লাহ কাশেমি এবং সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন সুজাউদ্দিন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাব এবং সাবেক এমপি ফারুকের দাপটে অধ্যক্ষ ৩৫ জন শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজ তহবিলের টাকা তছরুপ করেছেন। অডিটেও তার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।’’
বক্তারা বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে আমরা এ অবস্থার উত্তরণ চাই। অবিলম্বে অধ্যক্ষ সুজাউদ্দিনের সমস্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’’
মানববন্ধনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে অধ্যক্ষ মো. সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘অভিযোগ আসতেই পারে। তবে এটি প্রমাণ করতে হবে। অভিযোগ কেন করা হচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি না। আমি পাঁচ দিনের ছুটিতে আছি। এ সময় এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা বিব্রতকর।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল