ছেলেদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকেও ৪-০ গোলে হারিয়েছে গোলাম রব্বানীর দল। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন দলের ‘এ’ গ্রুপে প্রথম হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৭ দল।    

লঙ্কানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের রিফাত কাজী। অন্য গোলটি আসে মোহাম্মদ আরিফের পা থেকে। সাত দলের প্রতিযোগিতায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত ও পাকিস্তান। শেষ চারে ভারত না পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সেটি নির্ধারিত হবে আগামীকাল ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ শেষে।

রোববার কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৯ মিনিটে আরিফের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। লঙ্কান গোলকিপার সাতিন কাতাফির গোল কিক মাঝমাঠেই পেয়ে যান বাংলাদেশের নাজমুল হুদা। কয়েকজনকে কাটিয়ে পোস্টে শট নেন নাজমুল। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়কের শট আটকানোর চেষ্টায় সফল হলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি লঙ্কান গোলকিপার। কাতাফির হাত ফসকে বের হওয়া বল ফিরতি শটে জালে জড়ান আরিফ।

আরও পড়ুননেপালের জালে বাংলাদেশের ৪ গোল১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৪৪ মিনিটে নাজমুলের বাড়ানো বল বক্সে পেয়েও নিশানা ভেদ করতে পারেননি রিফাত কাজী। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে মাঝমাঠ নিজেদের দখলে রেখেই খেলা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এক গোল হজমের পর শ্রীলঙ্কা অনেকটা সতর্ক হয়ে যায়। রক্ষণ সামলাতেই বেশি মনোযোগী দেখা যায় তাদের। শেষ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের গোল উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়তে পারে: এবি পার্টি

দীর্ঘ আলোচনা ও যুক্তিতর্কের পরও সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এবি পার্টি।

আজ রোববার দলের জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের (এনইসি) এক বিশেষ সভায় দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলের কর্মনীতি নির্ধারণ, জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি ও জোট গঠন–সম্পর্কিত আলোচনার জন্য রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল জাতীয় ঐক্য, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব ও কাদা-ছোড়াছুড়িতে জাতীয় ঐক্য এবং রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের বিপরীত। এ ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ অস্পষ্ট। তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় ঐক্য রক্ষা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জুলাই সনদে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পর বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে নানা মত তৈরি হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া উচিত।

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে দলের অবস্থান তুলে ধরে মজিবুর রহমান বলেন, কোনো পদক্ষেপই যেন ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ব্যাহত না হয়, সেদিকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেম, গোলাম ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়াসহ জাতীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ