‘মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি দাড়ি রেখে লাফালাফি ভালো লাগে?’
Published: 22nd, September 2025 GMT
শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে আসছেন। এবার সংগীত জীবনের ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন এই শিল্পী। কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় একটি লাইভ কনসার্টে তাহসান জানান, ধীরে ধীরে সংগীত ক্যারিয়ার গুটিয়ে নিচ্ছেন।
সংগীত ক্যারিয়ারের রজত জয়ন্তীর বিশেষ মুহূর্ত উদ্যাপন উপলক্ষে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন তাহসান খান। সেখানে স্টেজে দাঁড়িয়ে তাহসান খান বলেন, “অনেক জায়গায় লেখালেখি হচ্ছে, এটি আমার লাস্ট কনসার্ট। আসলে এটাই লাস্ট কনসার্ট না, তবে আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটা গুটিয়ে ফেলব। মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি দাড়ি রেখে স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?”
আরো পড়ুন:
সত্যিই কি ফের বাবা হয়েছেন তাহসান?
ওয়ালটন লিফট এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান
এ ঘোষণার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে দেখা যায়, তাহসানের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন, সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করেছেন।
প্রসঙ্গত, ছায়ানট থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেন তাহসান। ১৯৯৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল ব্ল্যাক। পরবর্তীতে ব্যান্ড থেকে আলাদা হয়ে নিজের গানের আলাদা ধারা তৈরি করেন তাহসান।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।