দেরিতে আসায় রাশফোর্ডকে শাস্তি দিলেন বার্সেলোনা কোচ
Published: 22nd, September 2025 GMT
হান্সি ফ্লিকের দলে খেলতে হলে কয়েকটি বিশেষ নিয়ম মানতে হয়, যেগুলোতে কোনো ছাড় নেই। এসব নিয়মকে বলা হয় গোল্ডেন রুলস। লা লিগায় গত রাতে হেতাফের বিপক্ষে বার্সেলোনার ৩–০ গোলে জয়ের আগে এমনই এক নিয়ম ভেঙেছেন মার্কাস রাশফোর্ড।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে বার্সায় গিয়ে যেন পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছেন রাশফোর্ড। তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে ফ্লিক বেশ সন্তুষ্ট। কিন্তু কাল সকালে দেরিতে দলে যোগ দেওয়ায় ইংলিশ এই ফরোয়ার্ডকে প্রথমার্ধে বসিয়ে রাখেন বার্সা কোচ।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, ম্যাচের দিন (রোববার) সকালে দেরিতে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন রাশফোর্ড। শাস্তি হিসেবে তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন ফ্লিক।
আরও পড়ুননৈশ ক্লাবে হয়রানির শিকার নারী ফুটবলার, ‘বাঁচিয়েছেন’ রাশফোর্ড০১ জুলাই ২০২৩ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে কাল ফেরান তোরেসের জোড়া গোলে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রাফিনিয়ার বদলি হিসেবে রাশফোর্ডকে নামান ফ্লিক। ৬২ মিনিটে তাঁর বানিয়ে দেওয়া বল থেকেই ব্যবধান ৩–০ করেন দানি ওলমো।
হেতাফের বিপক্ষে কাল রাতে বদলি নেমে গোলে সহায়তা করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদো বললেন, ‘স্পেনের চেয়ে সৌদি আরবে গোল করা কঠিন’
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন।
একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।
লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন রোনালদোর০৫ নভেম্বর ২০২৫পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’
রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’
পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে রোনালদো কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা নিয়েও, ‘বাজে একটি মৌসুমেও যখন আল নাসর কোনো ট্রফি জেতেনি, তখনো আমি ২৫টি গোল করেছি। যদি আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলতাম, তাহলে এখনো একই রকম গোল করতাম। ভালো দলে থাকলে ৪০ বছর বয়সেও একই রকম পারফর্ম করতাম।’
সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো