হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাই-ভাবির হামলায় সফিক মিয়া (৪৩) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার ঘরগাও খামারপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সফিক মিয়ার সঙ্গে তার ভাই ও ভাবির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সফিক মিয়ার ওপর হামলা চালান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আল আমিন মীর জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহজনিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার উপাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত শিক্ষক আবদুর রহিমের মেজ ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মিজানুর মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিজানুর রহমান বাড়ির পাশে একটি বিলে শাপলা তুলতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর হদিস পাননি। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গতকাল রাত ৯টায় ওই বিলের পানিতে তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব সহজ-সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। সাঁতার জানতেন না। ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকাহত।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।