Prothomalo:
2025-11-06@22:24:44 GMT

রউফ-অভিষেকের মধ্যে কী হয়েছিল

Published: 22nd, September 2025 GMT

ব্যাট–বলের লড়াই একতরফা হলেও গতকাল রাতে ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের। ভারতের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পাকিস্তান পেসার হারিস রউফ আর ভারত ওপেনার অভিষেক শর্মা রীতিমতো বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল।

ম্যাচের একাধিক উত্তেজনাকর মুহূর্তের মধ্যে এটি ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কাছাকাছি ঘটনা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় ওপেনার অভিষেক টুইট করে লিখেছেন, ‘তোমরা কথা বলো, আমরা জিতি’।

পাকিস্তানের ১৭১ রান ভারত তাড়া করতে নামার পর প্রথম ওভারেই শুবমান গিল ও শাহিন আফ্রিদির মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা গেছে। যদিও তাঁরা তর্কে জড়াননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে আসেন রউফ।

ওভারের শেষ বলে গিল চার মেরেই কিছু একটা বলেন। রউফকেও আম্পায়ারের দিকে ফিরতে ফিরতে কিছু বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর সামনেই ছিলেন গিলের উদ্বোধনী সঙ্গী অভিষেক। ভারতীয় ওপেনার রেগে গিয়ে রউফকে কিছু একটা বলেন। দাঁড়িয়ে পড়ে চোখ রাঙান রউফও, আঙুলও তোলেন। মুহূর্তেই মুখোমুখি হয়ে পড়েন অভিষেক–রউফ। পাশে দাঁড়ান গিলও। যেকোনো সময় হাতাহাতিতে শুরু হয়ে যেতে পারে—এমনই পরিস্থিতি তখন।

অবস্থা সামাল দিতে আম্পায়ার গাজী সোহেল দ্রুত অভিষেক–রউফের মাঝে গিয়ে রউফকে সরিয়ে দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ দেখা যায় দুজনকেই।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অভিষেক। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ভারতকে ৬ উইকেটে জেতানোর পর নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজ ব্যাপারটা ছিল খুবই সহজ। তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর এসে পড়ছিল, আমার একদম ভালো লাগেনি। আর তাদের জবাব দেওয়ার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।’

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই মনোভাব প্রকাশ করেন অভিষেক। ম্যাচের চারটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তোমরা কথা বলো, আমরা জিতি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল জাতিসংঘ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এর আগেই ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। চীন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা নেওয়া হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরেই সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে চাপ দিয়ে আসছিল।

আহমেদ আল-শারার সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাহিনী গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর আহমেদ আল-শারা দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

আরও পড়ুনপ্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করবেন শারা০২ নভেম্বর ২০২৫

এক সময় নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এই এইচটিএস সিরিয়ায় আল-কায়েদার সহযোগী শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। তবে গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে এটিকে বাদ দেয়।

আরও পড়ুনযে মার্কিন জেনারেল একদিন গ্রেপ্তার করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে বসে সাক্ষাৎকার দিলেন আল-শারা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ