মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। 

এদিকে, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তীর ছোট-বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বৃষ্টি আমন ধানের জন্য উপকারী হলেও, ক্ষতির শংকায় আছেন সবজি চাষিরা। 

আরো পড়ুন:

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির আভাস 

অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‍“আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। আগামী দুই দিনে বঙ্গোপসাগরে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি এবং তা ঘনীভূত হতে পারে।” 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ 

যশোরের শার্শায় একটি পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। জাল-জালিয়াতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলে নিতে লাগাতার চাপ প্রয়োগ করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় ৭ মামলার আসামি বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই: মঈন

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে তনিমা তাসনুমা বলেন, তার বাবা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে বাগআঁচড়া মৌজার ২৮৬৫ নং খতিয়ানের ৩৩৭৪ নং হাল দাগের ১৭ শতক জমি কিনে মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনটি স্থাপন করেন। ২০২২ সালে তিনি মারা যান। ২০২৩ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল ও তার সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে পেট্রোল পাম্পটি অনেকবার দখলের চেষ্টা করেন। 

তিনি জানান, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করেন তারা। এ ঘটনায় জাল দলিলের বিরুদ্ধে তিনি ও স্বাক্ষর জালের ঘটনায় বিচারক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা দুইটি চলমান।  সর্বশেষ তারা গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে ফিলিং স্টেশনে ঢুকে পাম্পের চাবিসহ সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ম্যানেজারকে পাম্প থেকে বের করে দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে আনোয়ার গং চলে যায়। তবে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখল করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় সম্পদ রক্ষায় বিএনপির শীর্ষ নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। 

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন, ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্প ক্রয় করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্পটি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাম্প তার দখলে ছিল। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানেন না। তারা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে দখল করে নিয়েছেন।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ