বেপজায় নতুন নির্বাহী মোয়াজ্জেম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আইনুল
Published: 21st, September 2025 GMT
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাকে নিয়োগ দিয়ে চাকরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে মো.
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার অভোগকৃত অবসর-উত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে এক বছর মেয়াদে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে প্রেম চোপড়া
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা প্রেম চোপড়াকে। শনিবার (৮ নভেম্বর) ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা।
ইন্ডিয়া টুডে-কে প্রেম চোপড়ার জামাতা বিকাশ বালা বলেন, “অভিনেতা এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সবই বার্ধক্যজনিত সমস্যা। এটি নিয়মিত একটি প্রক্রিয়া; চিন্তার কিছু নেই।”
আরো পড়ুন:
‘প্রযোজক আমাকে লিভ-টুগেদারের প্রস্তাব দেয়’
ফের হাসপাতালে ধর্মেন্দ্র
এরই মাঝে খবর ছড়িয়ে পড়ে প্রেম চোপড়াকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রেম চোপড়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে ডা. জলিল পারকার বলেন, “দুই দিন আগে প্রেম চোপড়াজির পারিবারিক কার্ডিওলজিস্ট ড. নীতিন গোকলের তত্ত্বাবধানে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার হৃদযন্ত্রে একটি সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি ভাইরাল সংক্রমণ ও ফুসফুসের সংক্রমণেও আক্রান্ত।”
প্রেম চোপড়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে ডা. পারকার বলেন, “আমি একই টিমে তার চিকিৎসক হিসেবে রয়েছি। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নয়, ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।”
১৯৬১ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রেম চোপড়া। তার বাবা চাইতেন ছেলে চিকিৎসক হোক। কিন্তু স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর মুম্বাই পাড়ি জমান অভিনেতা হওয়ার উদ্দেশ্যে। শুরুতে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই চলচ্চিত্রে আসেন, কিছু পাঞ্জাবি সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয়ও করেন। তবে হিন্দি সিনেমায় নায়ক হিসেবে সেভাবে সাফল্য পাননি। ধীরে ধীরে খলনায়ক চরিত্রে প্রস্তাব আসতে শুরু করে, আর তাতেই তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়।
৯০ বছর বয়সি কিংবদন্তি অভিনেতা প্রেমে চোপড়া পাঞ্জাবি ভাষার ‘চৌধুরী কর্নেল সিং’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। মুক্তির পর এটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। অল্প সময়ের মধ্যেই তার অনবদ্য উপস্থিতি ও অভিনয় দক্ষতার কারণে হিন্দি চলচ্চিত্রে সুপরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। মূলত, খলনায়ক হিসেবে বিখ্যাত, তবে কমেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
ছয় দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রেম চোপড় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সময়ের প্রায় সব শীর্ষ তারকার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো—‘শহীদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘দো রাসতে’ (১৯৬৯), ‘কাটি পতঙ্গ’ (১৯৭০), ‘ববি’ (১৯৭৩), ‘দো আজানে’ (১৯৭৬), ‘দোস্তানা’ (১৯৮০), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১) প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত