ফতুল্লায় ময়লার স্তূপে পাঁচ বস্তা এনআইডি ও নির্বাচনীসামগ্রী
Published: 22nd, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় ময়লার স্তূপ থেকে পাঁচ বস্তা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র ও নির্বাচনী সিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় একটি সাদা গাড়িতে করে কয়েকজন ফতুল্লা স্টেডিয়ামের সামনে ময়লার ভাগাড়ে কয়েকটি বস্তা ফেলে যান। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে বস্তা খুলে দেখতে পান ভেতরে হাজারো এনআইডি কার্ড, পোলিং এজেন্টদের কার্ড ও সিল রয়েছে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং এসব সামগ্রী নির্বাচন কমিশনের নারায়ণগঞ্জ অফিসে জমা দেয়।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্টেডিয়াম এলাকায় আমার একটি স মিল রয়েছে। সেখানে ময়লা না ফেলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছি। রোববার সন্ধ্যায় সাদা গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক বস্তা ফেলে যায়। আমাদের কর্মীরা গিয়ে দেখতে পায়, এগুলো ময়লা নয়, বরং এনআইডি কার্ডসহ নির্বাচনীসামগ্রী। তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানার রামারবাগ এলাকায় স্টেডিয়ামের পাশে ময়লার স্তূপে গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন নামের লেমিনেটিং করা প্রায় চার হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র পড়ে ছিল। সংবাদ পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান এবং জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অফিসের হেফাজতে সংরক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ সদর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের এই বাড়ি স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বর্ণপদক জিতেছে
বাড়ির প্রবেশমুখেই লোহার বিশাল একটি দরজা। সেটি পেরোলেই চোখে পড়ে কংক্রিটের কয়েকটি দেয়াল। সীমানাপ্রাচীর হিসেবে ব্যবহার করা এই দেয়ালগুলো যেন একেকটি ক্যানভাস। তাতে নানা গাছ, লতাপাতা ছাড়াও খোদাই করে লেখা, ‘দেয়ালবয়ান’। তাই দেয়ালগুলো শুধু দেখার নয়, পড়ারও। এই যেমন ‘সুখ-দুঃখের মাঝখানে ফাঁদ-বাস্তবতার নিয়মিত স্বাদ’। আমাদের সঙ্গে আসা কেউ কেউ দেয়ালগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে লেখাগুলো পড়তে শুরু করলেন। কেউবা বাক্যের মানে বোঝার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার কথাগুলোর মানে নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। এভাবে কংক্রিটের বাড়িটি যেন মানুষের সঙ্গে কথা বলছে অবিরাম।
বাড়ির মূল আঙিনায় উঠতেই পেভমেন্টের কংক্রিট স্ল্যাবে আটকে যায় চোখ! সবুজ পাতা ছড়ানো পথের মাঝখানে কংক্রিট স্ল্যাবে বিভিন্ন আকারের পাতার ছাপ! ঢালাইয়ের সময়ই স্ল্যাবগুলোতে আশপাশের গাছগাছালির পাতা দিয়ে ছাপগুলো তৈরি করা হয়েছে।
সদর দরজা একটি হলেও বিভিন্ন দিক থেকে দোতলা বাড়িটির ভেতর-বাহির করা যায়। কোথাও হয়তো দোতলার শয়নকক্ষ থেকে উঁচু টিলা ধরে বাড়ির সামনের বিশাল সবুজে নেমে আসা যায়। কোথাও আবার সরু হাঁটাপথ আপনাকে নিয়ে যাবে প্রশস্ত পুকুরপাড়ে, কোথাও–বা বড় বড় ধাপে সবুজে গিয়ে মিলেছে সিঁড়ি।
ঢাকার অদূরেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বিরাব বাজার, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শীতলক্ষ্যা। সেখানেই চার বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই বাড়ি, নাম ‘চাবি’। পারিবারিক বাড়িটিকে বলা হচ্ছে ‘বিকল্প গন্তব্য’। ইচ্ছা হলে যে গন্তব্যে গিয়ে কাটিয়ে আসা যায় একান্তে কিছু সময়। আবার দল বেঁধে হইহুল্লোড় করার জন্যও মিলবে সুবিশাল প্রান্তর। এ যেন একের ভেতরে অনেক—পুকুর, টিলা ও জলাধার মিলেমিশে একাকার!
দেয়ালের গায়ে কাব্য