বলিউড অভিনেত্রী শমিতা শেঠি। তার আরেক পরিচয় তিনি অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির বোন। অভিনেত্রী হিসেবে তারা দুজনেই মেধাবি। তবে শিল্পা তার ক্যারিয়ারকে যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, সেখানে ততটা সফল হননি শমিতা। ফলে বোনের সঙ্গে তুলনা ব্যাপারটি বরাবরই সামনে এসেছে। 

কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শমিতা শেঠি। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, শিল্পা শেঠির সঙ্গে তুলনা করার ব্যাপারটি কীভাবে সামাল দেন। এতে করে কী হতাশা চেপে বসে না? জবাবে শমিতা শেঠি বলেন, “এখন আর না!” তিনি আরো জানান, তার বোন শিল্পা শেঠি ‘হোলি কাউ’ আর নিজেকে তিনি ‘দুষ্টু মেয়ে’ বলে উল্লেখ করেন।

আরো পড়ুন:

গায়ক জুবিনের প্রেম জীবন

মাইনাস ১০ ডিগ্রিতে শুটিং, আহত সালমান

নিজেকে খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। তা স্মরণ করে শমিতা শেঠি বলেন, “নিজেকে খুঁজে পাওয়াটাই কঠিন ছিল। কারণ জীবনের জার্নি আর অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে আপনি আপনার নিজেকে আবিষ্কার করে থাকেন। কিন্তু যদি সবসময় মনে হয়—‘সম্ভবত, এটা আমার জন্য সঠিক নয়’ বা ‘এটা ভালো নয়’, তাহলে ভিতরে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়। তখন আর বোঝা যায় না, আপনি কী হতে চান!”

শমিতা স্বীকার করেন, ছোটবেলায় তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরণের বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। তবে এখন দৃশ্যপট বদলে গেছে। তিনি এখন আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানেন, তিনি কী হতে চান, আর তাই এখন এসব তুলনা তাকে আর প্রভাবিত করে না বলেও জানান শমিতা।

শমিতা তার ছোটবেলায় কখনো এই অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেননি। কিন্তু এখন যখন কেউ তাকে এই তুলনা নিয়ে প্রশ্ন করেন, তার একটাই উত্তর—“দুজন মানুষকে নিয়ে তুলনা করাটা বোকামি।” ব্যাখ্যা করে শমিতা শেঠি বলেন, “প্রত্যেকটি ব্যক্তিত্ব আলাদা। শুধু ভাই-বোন নয়, একই বাড়ির দুই সদস্যও একেবারে বিপরীত হতে পারেন। এটা শিল্পা আর আমার মধ্যেও রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব শক্তির জায়গা আছে।”

শমিতা শেঠি তার ব্যক্তিগত জীবনটাও গুছিয়ে নিতে পারেননি। ৪৬ বছরের শমিতা এখনো অবিবাহিত। বলিউড অভিনেতা-মডেল রাকেশ বাপাটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। যদিও এ সম্পর্ক টিকেনি। এই সম্পর্ককে ‘জীবনের মুছে ফেলা অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন শমিতা।

২০০০ সালে ‘মহব্বতে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শমিতা। এরপর ‘বেওয়াফা’, ‘ক্যাশ’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি টিভি রিয়েলিটি শো করেছেন তিনি। তাছাড়া কয়েকটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন শমিতা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স

কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ৪০০-এর মাইলফলক।

শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের হুগো একিটিকে।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্স দলে ফিরলেন এন’গোলো কান্তে

ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ কেপ ভার্দের ‘বিশ্বকাপ’ স্বপ্ন ছোঁয়ার ইতিহাস

যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ। তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।

তারপর অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।

এই হারে ‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।

বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।

তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কাজটা বাকি ছিল।

কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে। তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল করেন।

শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।

ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ