হাবিপ্রবিতে ঘুষের অভিযোগে দুদকের অভিযান
Published: 21st, September 2025 GMT
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ঘুষ সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড ফাঁস ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের দিনাজপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজের সাজসজ্জার কাজের কার্যাদেশ প্রদানে অনিয়ম, ঘুষ দাবি ও নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আমরা প্রথমে উপাচার্য ও পরে রেজিস্ট্রারের কাছে নথিপত্র চাই। প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কিছু নথি পেয়েছি। বাকি নথিপত্র বিকেলের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। এগুলো পর্যালোচনা করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ফাঁস হওয়া ঘুষ সংক্রান্ত কথোপকথনের অডিও রেকর্ড পরীক্ষা করে সত্যতা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হবে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে কমিশনকে জানানো হবে এবং কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের ইন্টেরিয়র কাজের আরএফকিউ টেন্ডারকে ঘিরে ভিসি অধ্যাপক ড.
ঢাকা/মোসলেম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য ম পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়তে পারে: এবি পার্টি
দীর্ঘ আলোচনা ও যুক্তিতর্কের পরও সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এবি পার্টি।
আজ রোববার দলের জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের (এনইসি) এক বিশেষ সভায় দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলের কর্মনীতি নির্ধারণ, জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি ও জোট গঠন–সম্পর্কিত আলোচনার জন্য রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল জাতীয় ঐক্য, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব ও কাদা-ছোড়াছুড়িতে জাতীয় ঐক্য এবং রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের বিপরীত। এ ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ অস্পষ্ট। তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় ঐক্য রক্ষা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জুলাই সনদে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পর বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে নানা মত তৈরি হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া উচিত।
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে দলের অবস্থান তুলে ধরে মজিবুর রহমান বলেন, কোনো পদক্ষেপই যেন ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ব্যাহত না হয়, সেদিকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেম, গোলাম ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়াসহ জাতীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।