রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ও সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

খুলনায় ৭ মামলার আসামি বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম শাকিল (৩৪), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল ইত্তেহাদ রোহান (২৯), গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো.

হাসান (৩২), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাহুল হোসেন (৩১), আওয়ামী লীগের সমর্থক তানভীর রেজওয়ান ভূঁইয়া (৪৮), কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. ইয়াসিন আহমেদ রবিন (৩৫), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মো. সজিব কাজী (৩৪) এবং হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাত চৌধুরী (৩১)।

ডিবি জানায়, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুরের সদর থানা এলাকা থেকে কামরুল ইসলামকে এবং রাত ৯টার দিকে দক্ষিণখান এলাকা থেকে আল ইত্তেহাদ রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে ১১টা ৩৫ মিনিটে গেন্ডারিয়ার লোহারপুল থেকে মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলাবাগান এলাকা থেকে লাহুল হোসেনকে এবং রাত সোয়া ৮টার দিকে ডেমরা থেকে মো. ইয়াসিন আহমেদ রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সকালে গুলশান বিভাগের একটি দল মিরপুর সেকশন ৬ এর একটি বাসা থেকে তানভীর রেজওয়ান ভূঁইয়াকে ও চামেলীবাগ এলাকা থেকে সজিব কাজী এবং শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগ এলাকা থেকে প্রভাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি সূত্র বলছে, মো. ইয়াসিন আহমেদ রবিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তিনি বিভিন্ন ঝটিকা মিছিলে লোক সরবরাহ ও অর্থসহায়তার কাজও করতেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।

পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএর নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, রশিদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ। অন্যদিকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুইফেং ঝাং ও অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ।

উভয় পক্ষের আলোচনায় পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রভাব, শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্যকরণের কৌশল গুরুত্ব পায়। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব, ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য করণীয় বিষয়েও আলোচনা হয়।

আইএমএফের প্রতিনিধিদের কাছে জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানসহ শিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিজিএমইএর নেতারা। তাঁরা শিল্পের কৌশলগত রূপকল্প তুলে ধরে জানান, পোশাকশিল্প বর্তমানে শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে কৃত্রিম তন্তু ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলভিত্তিক পোশাক তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, তাঁদের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার উন্নয়ন, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্কসুবিধা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ), যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করার বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ফের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ পাঁচ নেতা-কর্মী
  • তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ
  • পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক