মহেশখালীতে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা
Published: 22nd, September 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহাদাত হোসেন (৪২)। তিনি শাহ ঘোনা এলাকার ফজল হকের ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গাজমি নিয়ে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গতকাল বিকেলে শাহাদাতের বড় ভাই লোকমান হোসেনের সঙ্গে সাদ্দামের কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে সাদ্দাম হোসনসহ আরও কয়েকজন শাহাদাতের ওপর হামলা চালান। এর একপর্যায়ে শাহাদাত হোসেনকে গুলি করা হয়। পরে আহত অবস্থায় শাহাদাতকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহাদাতের বড় ভাই লোকমান হোসেন অভিযোগ করেন, সাদ্দামের সঙ্গে স্থানীয় ‘তারেক বাহিনীর’ লোকজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। সাদ্দাম ওই বাহিনীর নেতা তারেকের ভাতিজা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। গতকাল রাতে জমিতে পানি চলাচলের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে শাহাদাত হোসেন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।’
পুলিশ জানায়, নিহত শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা-অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সাদ্দামও একই ধরনের ৪টি মামলার আসামি। হত্যার ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রউফ-অভিষেকের মধ্যে কী হয়েছিল
ব্যাট–বলের লড়াই একতরফা হলেও গতকাল রাতে ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের। ভারতের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পাকিস্তান পেসার হারিস রউফ আর ভারত ওপেনার অভিষেক শর্মা রীতিমতো বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল।
ম্যাচের একাধিক উত্তেজনাকর মুহূর্তের মধ্যে এটি ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কাছাকাছি ঘটনা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় ওপেনার অভিষেক টুইট করে লিখেছেন, ‘তোমরা কথা বলো, আমরা জিতি’।
পাকিস্তানের ১৭১ রান ভারত তাড়া করতে নামার পর প্রথম ওভারেই শুবমান গিল ও শাহিন আফ্রিদির মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা গেছে। যদিও তাঁরা তর্কে জড়াননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে আসেন রউফ।
ওভারের শেষ বলে গিল চার মেরেই কিছু একটা বলেন। রউফকেও আম্পায়ারের দিকে ফিরতে ফিরতে কিছু বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর সামনেই ছিলেন গিলের উদ্বোধনী সঙ্গী অভিষেক। ভারতীয় ওপেনার রেগে গিয়ে রউফকে কিছু একটা বলেন। দাঁড়িয়ে পড়ে চোখ রাঙান রউফও, আঙুলও তোলেন। মুহূর্তেই মুখোমুখি হয়ে পড়েন অভিষেক–রউফ। পাশে দাঁড়ান গিলও। যেকোনো সময় হাতাহাতিতে শুরু হয়ে যেতে পারে—এমনই পরিস্থিতি তখন।
অবস্থা সামাল দিতে আম্পায়ার গাজী সোহেল দ্রুত অভিষেক–রউফের মাঝে গিয়ে রউফকে সরিয়ে দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ দেখা যায় দুজনকেই।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অভিষেক। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ভারতকে ৬ উইকেটে জেতানোর পর নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজ ব্যাপারটা ছিল খুবই সহজ। তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর এসে পড়ছিল, আমার একদম ভালো লাগেনি। আর তাদের জবাব দেওয়ার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।’
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই মনোভাব প্রকাশ করেন অভিষেক। ম্যাচের চারটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তোমরা কথা বলো, আমরা জিতি।’