রূপগঞ্জের ২১ নং দক্ষিনবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দীপকের নানা অনিয়ম, স্কুলে অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই মানববন্ধন করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে পেশাকে অবহেলা করে বিদ্যালয় চলাকালীন জমি-জমার ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ সহ ব্যক্তিগত ব্যবসায় সময় ব্যয় করেন। 

ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ শতাধিক বর্তমানে এখানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১'শ এর কম।

এছাড়া বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মিত থাকায় ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

বিক্ষুব্ধরা আরও বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীলতা ও শিষ্টাচার প্রত্যাশিত, এই শিক্ষকের মধ্যে তা নেই। হরিকান্ত সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিক্ষুব্ধরা দ্রুত তার অপসারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরো বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে এটিইও’র ফলাফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬১৪
  • পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
  • অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানবব
  • খুলনায় যানজট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
  • এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
  • মাজার ভাঙার ঘটনায় সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে, এমন প্রমাণ নেই: ফরহাদ মজহার
  • খুলনায় নামের বিভ্রান্তিতে ২ কলেজ, প্রতিকার দাবি