বলেছিল ৬ মাস টিকব, কাটিয়ে দিয়েছি ১০ বছর—বললেন বুমরা
Published: 23rd, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার সাড়ে ৯ বছর হতে চলল। পেশাদার ক্যারিয়ারের বয়স এক যুগেরও বেশি। এই সময়ে বুমরাকে কয়েকবার চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে।
মাঝে পিঠের চোটের কারণে বুমরাকে ১১ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। সেই চোট আবার ফিরে আসায় এ বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও আইপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। এমনও শোনা গেছে, আর একবার এ ধরনের চোটে পড়লে ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু বুমরা এসব কথায় কান দেননি। চোটাঘাত নিয়ে যতবারই মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন, ততবারই রুদ্ররূপে ফেরার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফলও হয়েছেন। যার সর্বশেষ প্রমাণ চলমান হেডিংলি টেস্ট।
ক্যারিয়ারে কয়েকবার চোটে পড়েছেন বুমরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় হেলাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার তিনি বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেন।
হেলাল হোসেন স্থানীয় সাপ্তাহিক ‘আলোর মনি’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে উপজেলার মহেন্দ্রনগরের মকড়া ঢঢগাছ গ্রামে তাঁর ওপর হামলা হয়। এ সময় তাঁর মা শামসুন্নাহার বেগমও আহত হন। তাঁরা দুজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে পুলিশ জুয়ার আসর থেকে স্থানীয় আবদুল আজিজকে আটক করে। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজিজের পরিবার হেলালকে দায়ী করে হুমকি দিতে থাকে। হেলাল চলতি বছরের ১ মে এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গত শনিবার রাতে পেশাগত কাজে শহরে যাওয়ার পথে একই এলাকার মকবুল হোসেন, তাঁর ছেলে সোহরাব ও আবদুল আজিজ এবং তাঁদের স্বজনেরা হেলালকে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করেন এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়। চিৎকার শুনে তাঁর মা এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন মা-ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরন্নবী বলেন, মামলার পরই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেলাল হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালেও সংবাদ প্রকাশের জেরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলাম। এবার গ্রামের বাড়ির এলাকায় হামলার শিকার হলাম। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।’