১৭ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিঃস্ব করা হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 23rd, June 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “গত ১৭ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিঃস্ব করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব দেওয়া সম্ভব না। যদি হিসেব দিতে যায়, তাহলে দিনের পর দিন চলে যাবে।”
সোমবার (২৩ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত রিসার্চ ফেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “আমরা খুবই অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। এ জন্য আমাদের একটু চিন্তা করতে হয়, কোনটা আগে করব, কোনটা পরে করব। হইতো কিছু বিষয়ে আগে থেকে ধারণা আছে আমাদের, তাই কিছু কাজ এগিয়ে নিতে পারছি।”
আরো পড়ুন:
স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতায় ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান
জনবান্ধব হতে পারলেই পুলিশের কলঙ্ক মুছে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিক্ষকদের উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষকদের রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকতে পারে। সেই রাজনৈতিক বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতের আনা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন রাজনীতি করবেন তাহলে আমরা বলব অবশ্যই করবেন, তবে তার জন্য আপনাকে রাজনীতির অঙ্গণে যেতে হবে। রাজনীতিতে ভালো নেতৃত্বের দরকার আছে। সেখানেও আপনি সম্মান পাবেন। তাই রাজনীতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনবেন না।”
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এর আগে অতিথিরা বিশ্বিবদ্যালয়ের গোল চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রিসার্চ ফেয়ারের উদ্বোধন করেন। পরে তারা রিসার্চ ফেয়ারে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও সংগঠনের স্টল পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ৭০ জন শিক্ষককে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড এবং ৩১ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২৩ জুন) শাবিপ্রবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এবং প্রকল্প ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প যেন শিক্ষার্থীদের বাস্তব কল্যাণে প্রতিফলিত হয় এবং টেকসই হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:
উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ওবিই কারিকুলাম অপরিহার্য: বেরোবি উপাচার্য
শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর, অনেক জায়গায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, নিয়মিত টহল ও জরুরি হেল্পলাইন চালুর প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক নারী সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করা হয় স্মারকলিপিতে। এই জঘন্য ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত তদন্ত করে প্রশাসনিক ও আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ছাত্র হল পর্যন্ত সড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে দুরবস্থার মাত্রা আরো বেড়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ ও বর্ষাকালে কাদায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন।
শিবির নেতারা জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এসব উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী