আমার ছেলেবেলার স্কুলে গেলে আমি ছোট হয়ে যাই। সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল যে আগের তুলনায় বড় হয়েছে তা নয়। বরং খাটো হয়েই গেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জুটেছে অনেক। মেধাতালিকায় যাদের নাম জ্বলজ্বল করে তারা এখন অন্য ঠিকানার ছাত্র। এমনকি আয়তনেও স্কুলটি সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে আগের তুলনায়। সামনের রাস্তাটা এখন আগের চেয়ে প্রশস্ত এবং কর্মব্যস্ত; স্কুলের দেয়াল মনে হয় হেঁটে ভেতরে চলে এসেছে কিছুটা—নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। না, স্কুল বড় হয়েছে বলে আমি ছোট হই না। ছোট হই ভিন্ন কারণে। আমি ছাত্র হয়ে যাই। ক্লাসের, রুমের, বেঞ্চের, মাঠের।

ওই স্কুল আমাকে একদিন একটি আকাশ দিয়েছিল। ব্রাদার লরেঞ্জো আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। ক্লাসের পাঠ্য ইংরেজি উপন্যাস ‘দি ক্লয়েস্টার অ্যান্ড দি হার্থ’–এর নায়ক জেরাল্ড গির্জার পাদরি হয়েছিল, আমরা ব্রাদার লরেঞ্জোর পোশাক-আশাক, হাবভাব, চলাফেরা দেখে অনুমান করার চেষ্টা করতাম তরুণ জেরাল্ড কেমনটি ছিল। সেই ব্রাদার লরেঞ্জো, লোহার সিঁড়ির ঠিক নিচের কামরাটিতে দরজা ঠেলে যিনি ক্লাসে আসতেন এবং হঠাৎ হঠাৎ কাগজ দিয়ে বলতেন লিখতে, আর পরের সপ্তাহে লেখাগুলো যখন ফেরত দিতেন, তখন লাল কালিতে ভয়ংকরভাবে রক্তাক্ত থাকত আমাদের কৃতকর্ম, সেই ব্রাদার লরেঞ্জো, স্কুলে ছোট পাঠাগারটিরও দায়িত্বে ছিলেন।

ছোট্ট স্কুল আমাকে ওই আকাশটা দিল। যে আকাশ আস্তে আস্তে বড় হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। কেবল যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে আকাশ দিল তা নয়। নানাভাবেই দিয়েছে। শিক্ষকেরা দিয়েছেন, দিয়েছে সহপাঠীরা।

একেক দিন একেক ক্লাসের জন্য বরাদ্দ ছিল। আমাকে তিনি একটি বই বের করে দিয়েছিলেন। পরিষ্কার বাংলায় বলেছিলেন, ‘এটা একটা ভালো বই’, বলে প্রথম বাক্যটি পড়ে শুনিয়েছিলেন। সেই বই বিভূতিভূষণের ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। ক্যাথলিক পাদরি হিন্দু হোটেলের নামাঙ্কিত বই পড়তে দিয়েছিলেন আমাকে। ওই বইটি আমার পড়া ছিল না। বিভূতিভূষণের অন্য লেখা পড়েছি। ওটা পড়িনি। আমি রাত জেগে পড়েছিলাম সে বই। মনে হয়েছিল মাটিতে নেই, আকাশে রয়েছি।

ছোট্ট স্কুল আমাকে ওই আকাশটা দিল। যে আকাশ আস্তে আস্তে বড় হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। কেবল যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে আকাশ দিল তা নয়। নানাভাবেই দিয়েছে। শিক্ষকেরা দিয়েছেন, দিয়েছে সহপাঠীরা। শুধু ক্লাসের নয়, ক্লাসের বাইরের সতীর্থরাও, তারা যাদের সঙ্গে নিত্যদিনের দেখা হতো, কিন্তু কথা হতো না.

..

আরও পড়ুনসৈয়দ আব্দুল হাদী—বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গান যাঁর গায়কিতে পেয়েছে নতুন মাত্রা০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমরা হেঁটে হেঁটেই আসতাম স্কুলে। ঝাঁক বেঁধে এগুলো থেকে বের হতো কেউ, ওপাশের রাস্তা থেকে কেউবা। যেন শোভাযাত্রা চলেছে একটা। ফেরার পথে আবার নামিয়ে দিয়ে দিয়ে আসা, ঘাটে ঘাটে ভেড়া, লঞ্চের মতো।

কারও কারও গাড়ি ছিল। আটচল্লিশে ঢাকা শহর পূর্ব বাংলার রাজধানী। আর কারও না হোক মন্ত্রীদের তো গাড়ি থাকার কথা। আনোয়ারুল আমিনের পিতা মন্ত্রী ছিলেন, আনোয়ার আমাদের সহপাঠী ছিল, কিন্তু তাকে গাড়িতে চড়ে স্কুলে আসতে দেখিনি। বাসে চড়েই আসত সে...

প্রস্তুতিটা চলছিল। আমার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আহমদ ছিল, স্কুলে আমি যার সঙ্গে পড়েছি, স্কুল থেকে যখন কলেজ খোলা হলো তখনো পড়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, যদিও এক বিষয়ে নয়, ইংল্যান্ডে গিয়েও যার সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেই গিয়াসউদ্দিন, একাত্তরে যে শহীদ হয়েছে, স্কুলে যে বয়স্কাউট ছিল। স্কাউটদের যে মটো তার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘প্রস্তুত থেকো’। পেছনে তাকিয়ে দেখি, আমরা তরুণেরা প্রস্তুত হচ্ছিলাম, নতুন নতুন সুযোগ গ্রহণের জন্য...

আরও পড়ুনব্রিটিশ আমল থেকে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের এই অভিনেতা, চেনেন তো?২৫ মে ২০২৪

লেখাপড়ার ব্যাপারে অদম্যরূপে উৎসাহী আমার পিতা আসলে একজন বন্দী মানুষ ছিলেন। তাঁর বদ্ধমূল ধারণা যে লেখাপড়া যা হওয়ার মিশনারিদের স্কুলেই হয়। সে তুলনায় জেলা স্কুলই বলো কিংবা কলেজিয়েট স্কুল, কোনোটাই কিছু নয়। নতুন শহরে বদলি হয়ে এলে প্রথমেই মিশনারিদের স্কুল খুঁজতেন। ঢাকাতে আমরা এসেছি পাকিস্তান হওয়ার পর। এখানে এসেও তিনি মিশনারিদের স্কুলেই নিয়ে গেলেন প্রথমে, আমাদের দুই ভাইকে।

ব্রাদার জুড ছিলেন হেডমাস্টার। কী একটা টেস্টের যেন ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। অন্য কিছু মনে নেই, পিতার উদ্বেগাকুল মুখটিই ছাড়া। আমি ভর্তি হব, আমার ছোট ভাই ভর্তি হবে এবং ভর্তি না হতে পারলে মহা সর্বনাশ হয়ে যাবে। এ রকমের একটা উৎকণ্ঠা ছিল আমার পিতার মুখে। সৌভাগ্য, আমরা ভর্তি হতে পেরেছিলাম।

আকাশটা ছিল আন্তরিকতার, নিরবচ্ছিন্ন ঐতিহ্যের এবং মৈত্রীর। মৈত্রীর বিষয়টার একটি দিক ছিল বিশেষভাবে লক্ষ করার। সেটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

যখন ম্যাট্রিক পাস করলাম, ঠিক ম্যাট্রিক নয়, হাইস্কুল পরীক্ষা বলা হতো যাকে, বন্ধুরা তখন সবাই ছুটছে ঢাকা কলেজে কিংবা জগন্নাথে, তিনি তখনো আমাকে স্কুলেই রেখে দিলেন কলেজে ভর্তি করার নাম করে। স্কুলের নতুন কলেজ তখন স্কুলেই বসত, প্রত্যুষে। তখন মনে হয়নি, এখন দেখি তিনি উপকার করেছিলেন। অন্যত্র গেলে কী পেতাম জানি না, কিন্তু ওই স্কুলে এবং পরে কলেজে গিয়ে আমি একটি আকাশ পেয়েছিলাম।

আকাশটা ছিল আন্তরিকতার, নিরবচ্ছিন্ন ঐতিহ্যের এবং মৈত্রীর। মৈত্রীর বিষয়টার একটি দিক ছিল বিশেষভাবে লক্ষ করার। সেটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। স্কুল খ্রিষ্টানদের; ছাত্ররা ছিল মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিষ্টান। শিক্ষকদের অধিকাংশই হিন্দু। কয়েকজন খ্রিষ্টান, মুসলমান একজন—আরবির। যে বিরোধ নিয়ে হিন্দুস্তান-পাকিস্তানের সৃষ্টি, তার কোনো ছাপ স্কুলে দেখিনি।

আরও পড়ুনস্ত্রীরোগের অগ্রদূত চিকিৎসক টি এ চৌধুরীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল যে ঘটনা০৯ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ল আম ক আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মনোযোগ জুলাই সনদে, আছে নির্বাচনী ঐক্যের চিন্তাও

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বড় দলগুলো যখন মুখোমুখি অবস্থানে, গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৯টি দল তখন এর সমাধান খুঁজতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে আটটি দলের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের বাইরে অন্য তিন দলও আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দলের শীর্ষ নেতা ইতিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে একটা ঐকমত্যে আসা যায় কি না, সে বিষয়টির ওপরই মূল মনোযোগ থাকছে এসব আলোচনায়। তবে দলগুলোর এ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক সম্ভাব্য মেরুকরণসহ নানা সমীকরণ নিয়ে পারস্পরিক ধারণা বিনিময় হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে নির্বাচনী ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর হাতিরপুলের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্ট—এই পাঁচটি দলের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক হয়। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর একই স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের বাইরে অন্য তিন দলও আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দলের শীর্ষ নেতা ইতিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে আলোচনা হলেও সেখানে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের সম্ভাব্য রাজনৈতিক মেরুকরণ নিয়ে আলোচনা হয় বলে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতা নিয়েও নিজেদের চিন্তাভাবনা একে অপরকে জানিয়েছে দলগুলো।

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এই আলোচনা সমন্বয় করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরির ওপরই আলোচনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ এবং আরও বৃহত্তর আসন সমঝোতা—দুটি ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্র মঞ্চ ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবে। তবে নির্বাচনের আগে এটা ঠিক কী রূপ নেবে, তা কিছুদিন পরে পরিষ্কার হবে।’

জোট বা সমঝোতা নিয়ে চিন্তা

গণতন্ত্র মঞ্চে ছয়টি দল রয়েছে—গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জেএসডি ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি। মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন দলের বৈঠকে সংস্কারের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতা বা জোট নিয়েও কথা হচ্ছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়ে এখনো সংগঠিত আলোচনা না হলেও বিভিন্ন দল এ বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

গত ১৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বরের দুটি বৈঠকে অংশ নেওয়া চারটি দলের নেতারা জানিয়েছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর সঙ্গে তাঁরা বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে আগ্রহী। তবে কী বক্তব্য বা লক্ষ্য সামনে রেখে এটা হবে, তা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

অবশ্য নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়ে দ্বিতীয় দফার বিভিন্ন দলের আপত্তি আছে।

নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ এবং আরও বৃহত্তর আসন সমঝোতা—দুটি ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্র মঞ্চ ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবে। তবে নির্বাচনের আগে এটা ঠিক কী রূপ নেবে, তা কিছুদিন পরে পরিষ্কার হবে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

এ বিষয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবি পার্টি, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ দক্ষিণপন্থী চিন্তায় আচ্ছন্ন। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার সুযোগ নেই। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে বৃহত্তর মঞ্চে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের আছে। কারণ, তারা আমাদের সমমনা।’

গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুশতাক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সবাই চাইবে আগামী নির্বাচনটা যেন সুনির্দিষ্ট বক্তব্যের ভিত্তিতে হয়। সংস্কার প্রস্তাবে যারা যারা একমত, তারা একসঙ্গে নির্বাচন করলে জনগণের ম্যান্ডেট পেতে সুবিধা হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত বৈঠকি আলাপ হয়েছে, সংগঠিত কিছু হয়নি।

এবি পার্টি, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ দক্ষিণপন্থী চিন্তায় আচ্ছন্ন। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার সুযোগ নেই। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে বৃহত্তর মঞ্চে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের আছে। কারণ, তারা আমাদের সমমনা।সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনবিএনপি–জামায়াতের সঙ্গেও আলোচনার চেষ্টা

গত ১৮ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে তিন দলের যে বৈঠক হয়, সেখান থেকে সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে।

এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিপিবি–বাসদসহ বামপন্থী পাঁচটি দলের সঙ্গে হাতিরপুলে বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দল। এই বৈঠকে এনসিপি, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের কেউ ছিলেন না।

অন্যদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে তাঁরা বসার চেষ্টা করছেন।

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের এই যোগাযোগও ‘৯ দলের উদ্যোগের’ অংশ বলে জানিয়েছেন মজিবুর রহমান। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনায় অগ্রগতি আছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আলোচনায়। এটি হয়ে গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনএবার সিপিবি, বাসদসহ বামপন্থী ৫ দলের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ