নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০
Published: 24th, June 2025 GMT
নড়াইলের নড়াগাতি উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল পশ্চিমপাড়া গ্রামে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাশিয়াল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মালেক মোল্যা ও দাউদ মোল্যা মধ্যে একটি জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে দাউদ মোল্যার ছেলে আবুল বাশার ওই জমি থেকে বাঁশ কাটতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটি হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহতরা হলেন, মালেক মোল্যা, রসুল মোল্যা, রমজান মোল্যা, রাজিয়া বেগম, ঋতু খাতুন, আমিনুর মোল্যা, আহাদ শেখ, কিরামত আলী, শহিদুল ইসলাম ও জান্নাতি খাতুন।
আরো পড়ুন:
চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে মালেক মোল্যা, রসুল মোল্যা ও রমজান মোল্যাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় হেলাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার তিনি বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেন।
হেলাল হোসেন স্থানীয় সাপ্তাহিক ‘আলোর মনি’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে উপজেলার মহেন্দ্রনগরের মকড়া ঢঢগাছ গ্রামে তাঁর ওপর হামলা হয়। এ সময় তাঁর মা শামসুন্নাহার বেগমও আহত হন। তাঁরা দুজন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে পুলিশ জুয়ার আসর থেকে স্থানীয় আবদুল আজিজকে আটক করে। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজিজের পরিবার হেলালকে দায়ী করে হুমকি দিতে থাকে। হেলাল চলতি বছরের ১ মে এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গত শনিবার রাতে পেশাগত কাজে শহরে যাওয়ার পথে একই এলাকার মকবুল হোসেন, তাঁর ছেলে সোহরাব ও আবদুল আজিজ এবং তাঁদের স্বজনেরা হেলালকে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করেন এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়। চিৎকার শুনে তাঁর মা এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন মা-ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরন্নবী বলেন, মামলার পরই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেলাল হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালেও সংবাদ প্রকাশের জেরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলাম। এবার গ্রামের বাড়ির এলাকায় হামলার শিকার হলাম। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।’