দেশের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ৩৯৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৫৭। আর এ বিভাগের জেলা বরগুনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৩। ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোট আক্রান্তের ২৫ শতাংশই হয়েছে দক্ষিণের এ জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজ দুপুরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এ সময়ে অবশ্য ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে দেশে এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন।

এবার রাজধানীর তুলনায় বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হচ্ছে ব্যাপক হারে। এ বিভাগের বরগুনায় দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

দক্ষিণের জেলা বরগুনা পৌরসভার ৩১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা অনেক খারাপ। সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে প্রতি ১০ বাড়ির মধ্যে ৮টিতে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক দল ১৭ থেকে ১৯ জুন জরিপটি করে। এরপর রোববার প্রতিষ্ঠানটি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়।

বেশি হলে সে এলাকাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বরগুনা পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে সংক্রমণে হার ৮০, যা ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমার আট গুণ বেশি।

শুধু চলতি বছরই নয়, গত বছরও বরগুনায় ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে, বরগুনা ছিল দেশের চতুর্থ বৃহৎ ডেঙ্গু সংক্রমণের এলাকা। এ জেলায় গত বছর ২ হাজার ৪৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বরিশাল বিভাগে এটি ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরগ ন য় স ক রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

পিঁপড়ার ভয়ে আত্মহত্যা

পিঁপড়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৫ বছর বয়সী এক ভারতীয় তরুণী। তিনি সেই কথা লিখে গেছেন সুইসাইড নোটে। তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে।

তরুণীর বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে সেই সুইসাইড নোট। সেখানে তিনি লিখেছেন, “ওই পিঁপড়ার সঙ্গে আর থাকতে পারছি না।”

পুলিশ জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই ওই তরুণী পিঁপড়াকে ভয় পেতেন। এই রোগকে বলা হয় মারমেকোফোবিয়া। এ জন্য তরুণী চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে কাউন্সেলিং চলেছিল তার। ২০২২ সালে তরুণীর বিয়ে হয়। তিন বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তার। গত মঙ্গলবার নিজের বাড়ি পরিষ্কার করবেন বলে কন্যাকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন তিনি। বিকেলে স্বামী অফিস দেখে ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের ডেকে এনে ঘরের দরজা ভাঙেন তিনি। ভিতরে ঢুকে দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন তরুণী। একটি সুইসাইড নোটও দেখতে পান তরুণ। সেখানে লেখা, “ক্ষমা করো। এই পিঁপড়ার সঙ্গে আর থাকতে পারছি না। অন্বীকে (কন্যা) দেখো।”

পুলিশ আরো জানিয়েছে, ঘর পরিষ্কারের সময়ে সম্ভবত তরুণী আবার পিঁপড়া দেখতে পেয়েছিলেন। আর তাতেই এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ