ক্রিকেটের জন্ম ইংল্যান্ডে আর লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ক্রিকেটের তীর্থ। সেই লর্ডসেই ৩৫টি স্কুলের ৯৪৩ শিশুকে ক্রিকেট শিখিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাল দাতব্য সংস্থা চান্স টু শাইন (দ্যুতি ছড়ানোর সুযোগ)।

গতকাল দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের ৩৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় লর্ডসে। সেখানে তাদের ক্রিকেটের পাঠ দেওয়া হয় এবং এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিশুদের ক্রিকেট শেখা দেখতে অনেক দর্শকও হাজির ছিলেন। দর্শকের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিলেন বিবিসির গ্ল্যাডিয়েটর্স শোর তারকা ফিউরি।

একসঙ্গে এত শিশু এর আগে কখনো ক্রিকেট শেখেনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চার গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সাঁকোটি পানির নিচে

পা দিলেই দুলে ওঠে সাঁকো। কাঠ ও বাঁশের এই সাঁকোটির কোথাও হেলে পড়েছে, আবার কোথাও ভেঙেছে। এই সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায়ই পা ফসকে হ্রদের পানিতে পড়ছেন অনেকে। এমন অবস্থা রাঙামাটির ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প থেকে উলুছড়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সাঁকোটির। এটি দিয়েই চারটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটিও তলিয়ে গেছে। এ কারণে লোকজনের ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ও পৌরসভার কিছু অনুদানে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছরের মধ্যেই এটি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই প্রতিবছর সংস্কার করেন। এটি দিয়ে যাতায়াত করেন উলুছড়া, আলুটিলা, নতুনপাড়া ও কাটাছড়ি নিচপাড়া গ্রামের মানুষ। প্রতিবছর বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে এই সাঁকো দিয়ে পারাপারে বিপত্তি বাঁধে। এ বছরও একই অবস্থা। সাঁকোর কোনো কোনো অংশ প্রায় তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

আমাদের কেনাকাটা, চিকিৎসা, স্কুলে যাওয়া—সবকিছুই এই পথে গিয়ে করতে হয়। এখন সাঁকোটি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথায় গেলে এর সমাধান পাব, তা জানা নেই। আমরা সেতু নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা চাই।রবিধন চাকমা, কার্বারি (গ্রামপ্রধান), উলুছড়ি গ্রাম

উলুছড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের গ্রামে যাতায়াতের একটাই রাস্তা, যেতে হয় এই সাঁকো পার হয়ে। এখন সাঁকোটি পানির নিচে। প্রতিদিন স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে, বৃদ্ধ মানুষজন, রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। অনেক সময় লোকজন সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যাচ্ছেন।’

কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটি তলিয়ে গেছে। এরপরও সেটি দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের

সম্পর্কিত নিবন্ধ