বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টির (বিআরপি) প্রধান উপদেষ্টা সেলিম প্রধান বলেছেন, “আমাকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধানের দুই ভাই জোসেফ ও হারিছ আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছি। আমি চাই, বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। এজন্য রাজনীতিতে এসেছি। এই দেশের রাজনীতির চিত্র বদলে দেব। রাজনীতি কাকে বলে, সবাইকে দেখিয়ে দেব।”

বুধবার (২৫ জুন) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

সেলিম প্রধান বলেন, “রাজনীতি কোনো ব্যবসা না। বাংলাদেশের মানুষজন এখন বোকা নেই। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সবার হাতে এখন স্মার্টফোন আছে। দেশটা কারোর বাপের না। কোনো চাঁন্দাবাজি, ধান্দাবাজি চলবে না। জুলাই মাস থেকে দেখতে পারবেন, দেশের রাজনীতির চিত্র।” 

বিআরপির প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমার কিন্তু অনেক ক্ষমতা আছে। তবে, কখনো এই ক্ষমতা ব্যবহার করি না। আমার একটাই কথা, আমাদের দেশে জাস্টিস থাকবে না কেন? সত্যিকার জাস্টিস আমি দেখাব৷ আমি কোনো পাওয়ার খাটাব না।”

তিনি বলেন, “পৃথিবীতে যদি কোনো ব্যক্তি পারে, আমার সামনে এসে বলুক, একটা অপরাধ করেছি৷ প্রমাণ করে দেখাক, আমি একটা অবৈধ আয় করেছি। আমি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ দিলাম।”

গত ২০ জুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি। দলের প্রধান উপদেষ্টা করা হয় সেলিম প্রধানকে।

ঢাকা/এম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ