বন্ধ কারখানার মালিকেরা টাকা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন: উপদেষ্টা
Published: 25th, June 2025 GMT
শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার মালিকদের যদি অর্থের হিসাব নেয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যাংক হিসাবে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত টাকা পাওয়া যাবে। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘যে সমস্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হওয়ার মতোই ছিল। মালিকেরা ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়েছেন কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেননি। এ সকল কারখানার মালিকদের ব্যাংকে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’’
আরো পড়ুন:
বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
তিনি আরো বলেন, ‘‘মালিকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছেন।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘একটা কোম্পানি পেলাম না, যারা তিনশত কোটি টাকার কম ঋণ খেলাপি আছে। তারপরও ব্যাংক তাদের টাকা দিয়েছে। পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এ রকম হবে।’’
রপ্তানি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সব পোশাক কারখানা বন্ধ হলে তো ১৭ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি হতো না। এখন চিটাগাং বন্দর কুলাতে পারছে না।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কন্ট্রাকে কাজ করাত শ্রমিকদের দিয়ে। তাই খুব জটিলতা নেই। তবে বেকারত্ব বেড়েছে। তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন।’’
বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার শ্রমিকেরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে সাময়িক বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।