শুরু হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় একযোগে সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়।

২০২৪ সালে সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন। সে হিসাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।

ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের পরিক্ষার্থী তাহমিদ রশিদের অভিভাবক হারুন অর রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, “সিটি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। এখানে সকল পরিক্ষার্থীদের নিয়ম মেনে প্রবেশ করানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।” 

নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের পরিক্ষার্থী শাহারিয়ার নাদিমের অভিভাবক অসেমান খাতুন রাইজিংবিডিকে বলেন, “অনেক পরিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করেছিল। সরকারকে ধন্যবাদ তারা ঠিক সময়ে পরীক্ষা নিচ্ছে। পরীক্ষা পেছালে অনেক সমস্যা হতো। দোয়া করি, সবাই যেন ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে।” 

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে নির্দেশনা: এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করা, প্রতিটি কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি কেন্দ্রে মেডিক্যাল টিম সক্রিয় রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও কেন্দ্রের সামনে যেন জটলা না থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তর এবং আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পরীক্ষা শুরুর আগে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

প্রথম দিনে সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০৫ কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা হচ্ছে। মাদরাসা বোর্ডের অধীন ৪৫৯টি কেন্দ্রে আলিমের কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন ৭৩৩টি কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা নেওয়া হবে। সব বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়।

ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১, রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ ও চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন। এ ছাড়া বরিশালে পরীক্ষার্থী ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ এবং ময়মনসিংহে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন। কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।

ঢাকা/রায়হান/ইভা  

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প কেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন, তাদের কাজ কী হবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি অস্থায়ীভাবে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন। শহরটিতে ৮০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প বলছেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ জরুরি ছিল।

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, ২০২৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে সহিংস অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও তার পর থেকে তা দ্রুত কমছে।

ট্রাম্প কেন শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করলেন, তাঁদের কাজ কী, সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রয়োজন ছিল কি না, এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ট্রাম্প কী ঘোষণা দিয়েছেন

৭৮ মিনিটের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ক্রমবর্ধমান অপরাধ মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া (ডিসি) মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমাদের দেশের রাজধানীকে অপরাধ, রক্তপাত, বিশৃঙ্খলা, অসচ্ছলতা—এমনকি তার চেয়ে খারাপ অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছি।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে শহরের পুলিশ বাহিনীকে পরিচালনা করবেন।

টাইটেল থার্টি টু স্ট্যাটাস অনুসারে ন্যাশনাল গার্ড পরিচালিত হয়; অর্থাৎ তারা স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে, তবে তাদের তহবিল জোগাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ক্ষেত্রে তারা পসি কমিট্যাটাস আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যুক্ত হওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ডিসির স্বাধীনতা দিবস। আমরা আমাদের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে যাচ্ছি। আমরা এটিকে ফিরে পাচ্ছি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার যে ক্ষমতা আছে, তার আওতায় আমি ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া হোম রুল অ্যাক্টের ৭৪০ ধারা ব্যবহার করে ডিসি মেট্রোপলিটন এবং পুলিশ বিভাগকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছি।’

ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করারও ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ওয়াশিংটন ডিসিতে আইন, শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছি এবং তাদের যথাযথভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে যাচ্ছি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি রাজধানীর গৃহহীন মানুষকে সরানোর পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু কীভাবে এটা করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেননি।

১৯৭৩ সালের হোম রুল অ্যাক্ট কী

১৯৭৩ সালের হোম রুল অ্যাক্ট হলো এমন একটি মার্কিন আইন, যা প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন ডিসিকে স্বায়ত্তশাসনে চলার সুযোগ দিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আসন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র শহর, যেটি ৫০টি অঙ্গরাজ্যের কোনোটিরই অন্তর্ভুক্ত নয়। আর এ কারণে মার্কিন কংগ্রেসে ওয়াশিংটন ডিসির কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব নেই।

১৯৭৩ সালের আগপর্যন্ত প্রায় ১০০ বছর ধরে শহরটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন প্রেসিডেন্টের নিয়োগকৃত তিনজন কমিশনার। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন হোম রুল অ্যাক্ট নামক আইনে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দারা নিজেদের মেয়র আর নগর পরিষদ নির্বাচিত করার সুযোগ পেলেন।

অবশ্য ওই আইনে বলা আছে, বিশেষ বা জরুরি পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট চাইলে শহরের পুলিশ বাহিনীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবেন।

২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলার সময় ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করা যায়।

প্রেসিডেন্ট চাইলে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি তিনি কংগ্রেসকে জানান, তাহলে ৩০ দিন পর্যন্ত পুলিশকে ব্যবহার করা যায়।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রথম ৪৮ ঘণ্টার পরও ডিসি পুলিশকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্যবহার করতে চান এবং এ ব্যাপারে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোতায়েন হওয়া সেনারা রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে রাইফেল বহন করবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। সম্ভবত, তাঁরা কাছাকাছি কোথাও তাঁদের অস্ত্র রাখবেন। যেমন তাঁরা তাঁদের ট্রাকে অস্ত্রগুলো রাখতে পারেন, যেন প্রয়োজন হলেই আত্মরক্ষার কাজে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।

ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মিউরিয়েল বাউসার বলছেন, পুলিশ এখনো নগর প্রশাসনের অধীনেই কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, পামেলা স্মিথ মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রধান এবং তাঁর নির্দেশনায় ৩ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য কাজ করেন।’

বাউসার আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। নির্বাহী আদেশেও আলাদা কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ভবন ও জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভগুলোকে সুরক্ষার কাজ করবে।

ন্যাশনাল গার্ডের কাজ কী হবে

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, যেকোনো মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য ১০০-২০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনা প্রস্তুত থাকবে। প্রশাসনিক কাজ, জিনিসপত্র সরবরাহ এবং মাঠে উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কাজ করবে তারা।

টাইটেল থার্টি টু স্ট্যাটাস অনুসারে ন্যাশনাল গার্ড পরিচালিত হয়; অর্থাৎ তারা স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে। তবে তাদের তহবিল জোগাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ক্ষেত্রে তারা পসি কমিট্যাটাস আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়া শুরু করবেন।

সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোতায়েন হওয়া সেনারা রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে রাইফেল বহন করবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। সম্ভবত, তাঁরা কাছাকাছি কোথাও তাঁদের অস্ত্র রাখবেন। যেমন তাঁরা তাঁদের ট্রাকে অস্ত্রগুলো রাখতে পারেন, যেন প্রয়োজন হলেই আত্মরক্ষার কাজে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।

হেগসেথ বলেছেন, পেন্টাগন আরও কিছু ন্যাশনাল গার্ড ইউনিট ও অন্য বিশেষ ইউনিটকে আনতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি।

শহর থেকে গৃহহীনদের সরানোর জন্য সেনারা সাহায্য করবেন কি না, জানতে চাইলে হেগসেথ বলেন, সেনারা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থাকা।’

ট্রাম্প কেন এই ব্যবস্থা নিচ্ছেন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, রাজধানী শহরে বাড়তে থাকা সহিংসতার ঘটনা এখন জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তা সরকারি কর্মচারী, সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সুষ্ঠু কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়মিত প্রেসিডেন্টকে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় বিদ্যমান জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দেবেন।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড কোরিস্টিনের ওপর এ হামলা হয়। কোরিস্টিন হলেন শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। মাস্ক একসময় ডিওজিইর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, ৩ আগস্ট ভোরে ১৯ বছর বয়সী কোরিস্টিন ও তাঁর সঙ্গীর ওপর ১০ কিশোর হামলা চালায়। পরে ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

হামলার কয়েক দিন পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ডিসি যদি দ্রুত পরিস্থিতি সামাল না দেয়, তাহলে আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। আমরা শহরটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব এবং যেমনভাবে শহরটি চালানো উচিত, তেমনভাবে চালাব।’

ওই পোস্টের সঙ্গে ট্রাম্প কোরিস্টিনের একটি ছবিও যুক্ত করেন।

ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস ক্যাপিটলের কাছে ইউনিয়ন স্টেশনের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ১১ আগস্ট, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএসসি পরীক্ষা বাতিল নয়, সংস্কার দরকার
  • ট্রাম্প কেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন, তাদের কাজ কী হবে
  • নির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ছে
  • অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে লোকজন ভিডিও ধারণ করে, প্রতিহত করতে আসে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচনে ৮০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি ভালো হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
  • লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিলে পুরস্কার: স্বরাষ্ট
  • মাজারে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগ, এইচএসসি থেকে স্নাতকোত্তরে আবেদন