সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 26th, June 2025 GMT
সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।
এ সময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষায় বসেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এইচএসস ও সমম ন পর ক ষ শ ক ষ উপদ ষ ট পর ব শ পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার সন্ত্রাস দমনে কঠোর না হলে আসন্ন নির্বাচন অনিশ্চিত: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, সন্ত্রাস দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই ব্যর্থতা অন্তর্বর্তী সরকারের সব অবদান ছাপিয়ে যাচ্ছে। এখন সন্ত্রাস দমনে সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আজ রোববার দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গেছে, সেটা সত্য। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুনরুদ্ধারে এক বছর যথেষ্ট সময়। পুলিশের পোশাক পরিবর্তনসহ সামগ্রিক সংস্কারের কথা শুরুতে আলোচিত হলেও সেটা করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণ হিসেবে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য ফ্যাসিবাদের সময়ে নিয়োগ পাওয়া সত্ত্বেও এবং তাঁদের অসহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও পুলিশ বাহিনীতে বড় ধরনের কোনো সংস্কার করা হয়নি। দাগি আসামিদের কেবল চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তা–ও সংখ্যায় বেশি নয়। এর ফলে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ভয়ংকর নির্মমতায় ব্যবসায়ী হত্যা ও সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে উৎসবমুখর নির্বাচন করার যে আশাবাদ প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্ত করেছেন, সেই আশার গুড়ে বালি পড়বে বলে ধরেই নেওয়া যায়।
ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় দেশি অস্ত্রের বিশাল মজুত উদ্ধার প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এমন মজুত আরও কত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ছে। জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সন্ত্রাস দমনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইউনুস আহমদ সরকারকে দ্রুত ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।