ইসরায়েলের হামলার সময় ইরানে কী করছিলেন জেন-জিরা
Published: 26th, June 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় ১৩ জুন। এর পর থেকে তেহরানবাসীর স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটে। আতঙ্কে অনেকেই ঘরবন্দী জীবন কাটান। আর কেউবা ঘর হারিয়ে ছোট্ট সন্তানকে বুকে চেপে ধরে খুঁজেছেন নিরাপদ আশ্রয়; কেউ সাবওয়ে স্টেশনে ঢুকেছেন রাত কাটানোর আশায়। এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কী করেছেন ইরানের জেন-জিরা? কেমন ছিল তাঁদের জীবন?
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তরুণেরা বাইরে বের হতে না পেরে আশ্রয় খুঁজেছেন ভার্চ্যুয়াল জগতে। এটা তাঁদের কাছে তখন একমাত্র নিরাপদ জায়গা ছিল। ডিসকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য চ্যাটিং অ্যাপেই তাঁরা গড়ে তুলেছিলেন একধরনের ডিজিটাল আশ্রয়কেন্দ্র। এই আশ্রয়কেন্দ্রের আলোচনায় ছিল বেঁচে থাকার কৌশল, মানসিক সমর্থন ও বন্ধুতা।
তেহরানের ২৪ বছর বয়সী আইটি প্রকৌশলের শিক্ষার্থী মোমো (ছদ্মনাম) ১৮ জুন আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আবাসিক ভবন লক্ষ্য করেও হামলা হচ্ছে। আমরা জানি না কোথায় যাব। আমরা জানি না পাশের বাড়িটা অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) নাকি গোয়েন্দা দপ্তরের। জানি না, ওপরের ফ্ল্যাটের মানুষটা সাধারণ কেউ, নাকি সরকারের লোক। আমার পাশের ভবনটা হয়তো গোপন সামরিক প্রকল্পের অংশ।’
তবে এরপরও অন্যদের মতো তেহরান ছাড়েননি মোমো। নীতিগত অবস্থান থেকেই তিনি এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তেহরানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোথায় যাব আমি? আমার ঘর এখানে, জীবন এখানে। আমরা কোনো দমনমূলক শাসনের কাছে বা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করব না। আমরা অনেকেই তেহরানে আছি। জানি না কত দিন এ অবস্থা চলবে। কিন্তু আমি চাই, আমার ঘরই হোক আমার কবর, তবু উদ্বাস্তু হয়ে বাঁচতে চাই না।’
ইন্টারনেটই একমাত্র আশ্রয়
ইরানে তখন যোগাযোগব্যবস্থাও নজরদারির ভেতর ছিল। কোথাও কোথাও ছিল বিচ্ছিন্ন। সেখানে ইরানের জেন-জিরা ডিজিটাল জগতে তৈরি করেছিল নতুন নিরাপদ আশ্রয়। এসব অনলাইন ফোরাম হয়ে উঠেছিল একেকটা ভার্চ্যুয়াল আশ্রয়কেন্দ্র, থেরাপির ঘর ও সংগঠনের কেন্দ্র। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম, তাঁরাই হলেন জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর।
একটি ভবনের ছাদ থেকে বিস্ফোরণ দেখছেন তেহরানের এক তরুণ। ১৬ জুন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের সমন্বিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জবি) নির্বাচনে ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ যৌথভাবে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামে সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
জকসু: ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন সেই খাদিজা, লড়তে পারেন জিএস পদে
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলে যুগ্ম আহ্বায়ক সদ্য পদ পাওয়া খাদিজাতুল কুবরা এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল মনোনীত হয়েছে।
প্যানেলে অন্যান্যদের মাঝে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে লড়বেন অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক পদে মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আনন বিন রহমান, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে লড়বেন রিয়াসাল রাকিব।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন- ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরেকজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী