গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩
Published: 26th, June 2025 GMT
গাজীপুরে চাঁদাবাজি মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাসন থানা–পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে নগরের বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজি মামলার আসামি রবি মিয়াকে (৩৪) গ্রেপ্তার করতে তাঁর ইটাহাটার বাড়িতে অভিযান চালান এসআই মোহাম্মদ আলী। এ সময় আসামি রবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অতর্কিতভাবে এসআই মোহাম্মদ আলীর ওপর হামলা করেন এবং তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় এসআইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসি প্রত্যাহার ও ৭ পুলিশ বরখাস্ত
রাজধানীর বাড্ডায় একটি মন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ৩০টি গুলি চুরির ঘটনায় বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডার নিমতলীর শ্রীশ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালীমন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের জন্য মন্দিরের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে থাকা একটি নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন আনসার সদস্যের পাশ থেকে তাঁদের ব্যবহৃত চারটি ব্যাগ, দুটি মানিব্যাগ ও তিনটি মুঠোফোন চুরি হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাগে শটগানের ৩০টি গুলি ছিল। পরে সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ মণ্ডপের পাশের একটি জায়গা থেকে চুরি হওয়া গুলিগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক এবং পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওসি প্রত্যাহারের অফিস আদেশ এখনো পাইনি।’