গাজীপুরে চাঁদাবাজি মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাসন থানা–পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে নগরের বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজি মামলার আসামি রবি মিয়াকে (৩৪) গ্রেপ্তার করতে তাঁর ইটাহাটার বাড়িতে অভিযান চালান এসআই মোহাম্মদ আলী। এ সময় আসামি রবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অতর্কিতভাবে এসআই মোহাম্মদ আলীর ওপর হামলা করেন এবং তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় এসআইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।

বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

সজীব মিয়া জানান, হামলার পর মূল আসামি রবি পালিয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ

খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবারও খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা আজও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। আজ তাঁকে আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল। তাঁকে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা সদর থানায় বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে নির্ধারিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হয়। এটা না হলে পরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। তাই কিছুটা সময় লেগেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

এদিকে আজ বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা পুলিশ কমিশনারের অপসারণের এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বলছেন, সুকান্তকে প্রথমে আটক করার পরও আইনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই তাঁরা আন্দোলন করছেন।

গতকাল বুধবারও সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভের প্রথম দিন গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন। পরে রাত সাড়ে নয়টায় কেএমপির সদর দপ্তরের তালা খুলে পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক অপহরণ, তিনজন আটক
  • পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকে কারাগারে প্রেরণ  
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, এবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে কেএমপি ঘেরাও
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ
  • বান্দরবানে রিসোর্টের ব্যবস্থাপককে অপহরণের অভিযোগে আটক ৩
  • ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও তিনজনকে ফাঁসি দিল ইরান
  • সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ নেতার দখলবাজি, মামলা
  • আশুলিয়ায় ৬ জনকে পোড়ানোর ঘটনা: সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন
  • সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের