অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে যা বললো রেলপথ মন্ত্রণালয়
Published: 27th, June 2025 GMT
রাজধানীর খিলক্ষেতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে স্থাপন করা অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ ছিল অননুমোদিত। এ নিয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পূজা মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ সময় পূজার আয়োজকরা রেল কর্তৃপক্ষকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সে বছরের দুর্গা পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। পরে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এমন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা তাতে কর্ণপাত করেননি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
অভিযানকালে প্রথমে ১৫০টি দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার ও সবশেষে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরানো হয়েছে। মণ্ডপের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
রেলের জমিতে স্থাপনকৃত অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।
চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগেচালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’
দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’