এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, শুল্ক–কর আদায়ে স্থবিরতা
Published: 29th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অচলাবস্থা কাটেনি। গতকাল শনিবার এনবিআরসহ দেশের সব শুল্ক-কর কার্যালয়ে দিনভর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শুল্ক-কর কার্যালয় থেকে মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিও পালিত হয়। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কাজ হয়নি। এতে এসব জায়গায় শুল্ক-কর আদায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ গতকাল দুপুরে ঘোষণা দিয়েছে, আজ রোববারও চলবে ‘শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের শর্ত হলো আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তাঁদের দাবি, বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব খাতের এ সংস্কারে তাঁদের (এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারী) উপেক্ষা করছেন। উল্টো আন্দোলনকারীদের দমন–নিপীড়ন করছেন।
এনবিআরে সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে গত ১২ মের পর থেকে আন্দোলন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে সরকারের হয়ে রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটিতে একধরনের অচলাবস্থা চলছে। এতে সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। ভোগান্তি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমন অবস্থায় শীর্ষ ১৩টি ব্যবসায়ী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে রাজস্ব খাতের সংস্কারের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি সমর্থন করেন না বলে জানান তাঁরা।
রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রমের সুবিধার্থে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শেষ সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন (২১ ও ২৮ জুন) এনবিআর খোলা রাখার ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে গতকাল ছিল অন্য কর্মদিবসের মতোই। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সকাল নয়টার পর থেকে এনবিআরে শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা নিজ নিজ দপ্তর ছেড়ে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় এনবিআরের সব ফটক বন্ধ করে দেয় এনবিআর কর্তৃপক্ষ। সারা দিন কাউকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কেউ বের হতেও পারেননি। এ কারণে দিনভর এনবিআরের সব সেবা বন্ধ ছিল। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো এনবিআর প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। ছিল জলকামানসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি।
সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হন। দিনভর চলে আন্দোলনকারীদের স্লোগান, চলে নেতাদের বক্তব্য। সারা দিনই এনবিআরের সামনের রাস্তায় যানজট দেখা যায়।
বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। নতুন কর্মসূচি অনুসারে, আজ এনবিআরসহ সারা দেশের শুল্ক-কর কার্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ শাটডাউন কর্মসূচির বাইরে থাকবে। এ ছাড়া মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিও চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে রেখে সংস্কার করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী মঙ্গলবার সরকার যে বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেও যেতে আপত্তি নেই। কিন্তু এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
এদিকে গতকাল রাতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই আমি ওঁদের (আন্দোলনকারী) সঙ্গে বৈঠকের সময় দিয়েছি। তবে শর্ত হলো আন্দোলন প্রত্যাহার করে আসতে হবে। এর আগেও যদি তাঁরা বসতে চান, আমি রাজি আছি। আমি আশা করি, তাঁদের বোধোদয় হবে। দেশের স্বার্থ তাঁদের আগে দেখতে হবে। রাজস্ব আদায় যেন বিঘ্নিত না হয়।’
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। উদ্দেশ্য হলো করহার নির্ধারণের মতো নীতিগত কাজ এবং কর আদায়ের কাজ পৃথক রাখা। অর্থনীতিবিদ, গবেষক, ব্যবসায়ীরাও দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব খাত সংস্কারের কথা বলে আসছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের একটি শর্ত ছিল, রাজস্ব নীতি ও আদায়ের কাজে আলাদা সংস্থা করা।
এনবিআরের কর্মকর্তারা দুটি বিভাগ করা নিয়ে তেমন আপত্তি করছেন না। তবে তাঁরা মূলত ওই দুই বিভাগে পদায়নের ক্ষেত্রে রাজস্ব খাতের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার চাইছেন। সরকার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগের কথা বলছে, যার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা যায়।
এনবিআর হলো দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক-কর আদায়কারী সংস্থা। বাজেটের ৮৮ শতাংশের বেশি রাজস্বের জোগান দেয় এনবিআর। আগামী অর্থবছরে বাজেটের ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্থবছরে শেষ মাসে, অর্থাৎ জুনে সবচেয়ে বেশি শুল্ক-কর আদায় হয়। গত বছর জুন মাসে ৫৮ হাজার ৩০১ কোটি টাকা আদায় করেছিল এনবিআর। জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার কোটি টাকা আদায় করেন শুল্ক-কর কর্মকর্তারা। এমন অবস্থায় এক দিন শুল্ক-কর আদায় কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। শুল্ক-কর কার্যালয় বন্ধ থাকলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়। এ সময়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় শুল্ক-করের টাকা জমা হওয়াই একমাত্র ভরসা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কর্মসূচির কারণে রাজস্ব খাতে ব্যাপক ক্ষতি হলো, যা অর্থনীতিরও ক্ষতি। কারখানায় পণ্য উৎপাদন হলেও বন্দরে গিয়ে পড়ে থাকছে। জাহাজে উঠতে পারছে না। আবার কাঁচামালসহ পণ্য আমদানি করা হলেও খালাস করা যাচ্ছে না। এতে পণ্য উৎপাদনও বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি বলেন, জুন মাসে রাজস্ব আদায়ের জোয়ার আসে। কিন্তু এ অচলাবস্থার ফলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষতি পোষাবে কে?
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর মকর ত গতক ল করছ ন অবস থ ব যবস সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে ৩২৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪২তম বার্ষিক অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট পাস করা হয়েছে।
মূল বাজেট ও সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ যথাক্রমে ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৩৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বছর শেষে ক্রমপুঞ্জিত ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা দাঁড়াবে জানা গেছে।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে নিয়মানুযায়ী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বাজেট উপস্থাপন করেন। সিনেটরদের আলোচনার পর তা পাস করা হয়।
আরো পড়ুন:
জাবিতে সিনেট অধিবেশন: জুলাইয়ের সহযোগী শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা
জাবিতে সিনেট অধিবেশন: তোপের মুখে ৩ আওয়ামীপন্থি শিক্ষকের সভা ত্যাগ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট ও ২০২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেতন-ভাতা বাবদ সর্বোচ্চ ব্যয় রাখা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৮১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৫৬.২৪ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের মূল বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১৮৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ।
বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে সেবা খাতে, যার পরিমাণ ৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ খাতে মোট বাজেটের ২৩.৩১ শতাংশ খরচ হবে। চলতি অর্থবছরে মূল বরাদ্দে ছিল ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা শতকরা হিসাবে ২২.৬০ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে। এতে বরাদ্দ রয়েছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ, যা মোট বরাদ্দের ১১.৯৯ শতাংশ। চলতি বছর এ খাতে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল, যা শতকরা হিসাবে ১০.০২ শতাংশ।
গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ রয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২.৮৫ শতাংশ। চলতি বছর এটি ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা শতকরা হিসাবে ২.২৬ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা খাতে এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ০.১৪ শতাংশ। এটি এ বছর ছিল ৪৫ লাখ টাকা, যা শতকরা হিসাবে ০.১৫ শতাংশ। যানবাহন ক্রয় বাবদ প্রস্তাবিত বাজেটে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা শতকরা হিসাবে ০.৭১ শতাংশ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের আয়ের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বা সরকারি মঞ্জুরি ২৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত ফি বাবদ ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ভর্তি ফর্ম বিক্রি থেকে আয় ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন চার্জ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি থেকে আয় ৩৩ লাখ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উৎস থেকে আয় ১০ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ইউজিসির বরাদ্দ বাদে সব মিলিয়ে মোট নিজস্ব আয় ৪৪ কোটি টাকা।
বাজেট পর্যালোচনায় আরো দেখা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতের বরাদ্দ ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা থেকে ৯ লাখ ২৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বাজেটে যানবাহন ক্রয় খাত থেকে একটি মাইক্রোবাস ও একটি এ্যম্বুলেন্স, একটি এসি কোস্টার ও একটি বড় বাস ক্রয় করা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন বৈদ্যুতিক লাইনসমূহ পুনঃস্থাপনের জন্য বাজেটে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিটি (আরএফআইডি) স্থাপন বাবদ সংশোধিত বাজেটে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপনকালে কোষাধ্যক্ষ জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিলে ঘাটতির পরিমাণ ৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) আনুমানিক ঘাটতির পরিমাণ ২০ কোটি টাকা হওয়ায় বছর শেষে ক্রমপুঞ্জিত ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতির কারণ হিসেবে তিনি জানান, সরকারী বিধি বহির্ভূতভাবে কিছু কিছু খাতে যেমন- জাবি স্কুল ও কলেজের ব্যয়, গবেষণা ভাতা, নৈশ ভাতা, গার্ড বোনাস, স্বাস্থ্য বীমা/গোষ্ঠী বীমা খাতের ভর্তুকী, ডাইনিং হল অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতগুলো ব্যয় করাই বাজেট ঘাটতির প্রধান কারণ। এসব খাতগুলো চলতি অর্থবছর এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ইউজিসি থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ব্যতীত গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, গাড়ি ভাড়া, রোড ট্যাক্স ইত্যাদি বাবদ প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও জাবি স্কুল ও কলেজের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া না গেলেও এই প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতি অর্থবছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এই দুটি খাত আমাদের বাজেট ঘাটতি ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলেছে। এর বিপরীতে আমাদের অভ্যন্তরীণ আয়ের তেমন কোনো খাত নেই।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী