দাতব্যকাজে ব্যয়ের জন্য এবার নিজের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ৬০০ কোটি (৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার মূল্যের শেয়ার দান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। প্রায় দুই দশক আগে নিজের সম্পদ দান করা শুরু করার পর এটিই তাঁর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বার্ষিক অনুদান।

গেটস ফাউন্ডেশনসহ মোট পাঁচটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান এই অনুদান পেয়েছে। অনুদান পাওয়া বাকি চারটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বাফেটের পরিবারের সদস্যদের দিয়ে পরিচালিত।

গত শুক্রবার এই দানের ফলে বাফেটের মোট দানের পরিমাণ ছয় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল।

বাফেট শুক্রবার গেটস ফাউন্ডেশনকে ৯৪ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার, সুসান থমসন বাফেট ফাউন্ডেশনকে ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৪ শেয়ার দিয়েছেন এবং তাঁর তিন সন্তান হাওয়ার্ড, সুজি ও পিটারের নেতৃত্বে থাকা তিনটি দাতব্য সংস্থা হাওয়ার্ড জি বাফেট ফাউন্ডেশন, শেরউড ফাউন্ডেশন ও নোভো ফাউন্ডেশনকে দিয়েছেন ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৬টি করে শেয়ার।

শুক্রবারের অনুদানের আগপর্যন্ত ওয়ারেন বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় সে সময় তিনি বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ৬০০ কোটি ডলার দানের পর তিনি এখন তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছেন।

প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ওয়ারেন বাফেট এখনো বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

সর্বশেষ অনুদান দেওয়ার আগপর্যন্ত ওয়ারেন বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় সে সময় তিনি বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী ছিলেন। ৬০০ কোটি ডলার দানের পর এখন তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছেন।

এর আগে গত বছরের জুনে বাফেট ৫৩০ কোটি ডলার ও গত নভেম্বরে তাঁর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ১১৪ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন বাফেট।

এক বিবৃতিতে বাফেট বলেছিলেন, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কোনো শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা তাঁর নেই; বরং তিনি তাঁর সম্পদের বেশির ভাগটাই দান করে দিতে চান।

বাফেটের বয়স এখন ৯৪ বছর। তিনি ২০০৬ সাল থেকে তাঁর সম্পদ দান করা শুরু করেন।

মানবহিতৈষী কাজে নিজের অর্জিত সম্পদ ব্যয় করার ইচ্ছা থেকে গত বছর বাফেট তাঁর উইল পরিবর্তন করেন এবং সেখানে উল্লেখ করেন, মৃত্যুর পর তাঁর বাকি সম্পদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ একটি দাতব্য ট্রাস্টে দেওয়া হবে, যেটির তত্ত্বাবধান করবেন তাঁর সন্তানেরা।

মানবহিতৈষী কাজে নিজের অর্জিত সম্পদ ব্যয় করার ইচ্ছা থেকে গত বছর বাফেট তাঁর উইল পরিবর্তন করেন। সেখানে উল্লেখ করেন, মৃত্যুর পর তাঁর বাকি সম্পদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশই একটি দাতব্য ট্রাস্টে দেওয়া হবে, যেটির তত্ত্বাবধান করবেন তাঁর সন্তানেরা।

বাফেটের তিন সন্তানের মধ্যে সুসি বাফেটের বয়স ৭১, হাওয়ার্ড বাফেটের ৭০ ও পিটার বাফেটের বয়স ৬৭ বছর।

গত বছরের জুনে বাফেট বলেছেন, তাঁর মৃত্যু হলে গেটস ফাউন্ডেশনের জন্য তাঁর অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনমৃত্যুর পর ১৫ হাজার কোটি ডলারের সম্পদের কী হবে, জানিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট২৬ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৬০০ ক ট গত বছর উন ড শ অন দ ন ফ উন ড দ ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

কারণ ছাড়াই বাড়ছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর

পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের অস্বাভাবিক শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ নেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, গত ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারের দাম বাড়ছে।

ওরিয়ন ইনফিউশনের গত ২০ জুলাই শেয়ার দর ছিল ৩৩৭.২০ টাকায়। আর ১৪ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪৫৯.৯০ টাকায়। অর্থাৎ ১ মাসের শেয়ারটির দর বেড়েছে ১২২.৭০ টাকা বা ৩৬ শতাংশ।

এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ