রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড়ে একটি বাসায় পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করার সময় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। 

দগ্ধরা হলেন-বিল্লাল হোসেন (২৮), মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (৪৫), ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪)।

এরমধ্যে বিল্লাল হোসেন দিনমজুর, তার ১৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, তার ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিকের মেয়ে ফারিয়া, তার ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাড়ির মালিকের আরেক মেয়ে রাইফা, তার ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। 

এরা সকালেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ১১ টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। 

বাড়িওয়ালা জিয়াউর রহমানের ভাগিনা সাকরান হোসেন বলেন, ‘‘শনিবার বিকেলের দিকে ৫১/ এ, হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় বাসায় একজন দিনমজুর পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায় এতে শিশু সহ ৪ জন দগ্ধ হয়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।’’  

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এর জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, হাজারীবাগ থেকে গ্যাসের আগুনে শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। আহতদেরকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে বিল্লালের অবস্থা গুরুতর।

ঢাকা/বুলবুল/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে ইউএনও’র দৃষ্টান্ত স্থাপন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গুরুতর আহত তিনজনের জীবন রক্ষায় মানবিক ও দ্রুত তৎপরতার নজির স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাজ্জাত হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের তালতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদনপুর থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশা বিশনন্দি ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গ্যাসভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাতনামা দুইজন পুরুষ নিহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন— কুমিল্লার রাবেয়া (৬০), মদনপুর এলাকার সিএনজি চালক আবুল বাশার (৪৫), অজ্ঞাতনামা এক পুরুষ, এক নারী ও এক ১২ বছরের শিশু। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সারতি রানী রায় জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি ইউএনও মো. সাজ্জাত হোসেনকে অবহিত করেন। খবর পাওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ইউএনও হাসপাতালে পৌঁছে নিজ খরচে চারটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঢাকায় নেওয়ার পর আরও দুইজন মারা যান। তবে বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন এবং তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।

মানবিক ভূমিকা সম্পর্কে ইউএনও মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, "মানবিক দায়িত্ব থেকেই আমি দ্রুত হাসপাতালে গিয়েছি। তখন আহতদের জীবন বাঁচানোই ছিল প্রধান কাজ। আশা করছি, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।"

স্থানীয়রা ইউএনও'র এ উদ্যোগকে ‘সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত’ এবং ‘প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় শহীদ ও আহতদের স্বরণে এনসিপির দোয়া
  • আড়াইহাজারে দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে ইউএনও’র দৃষ্টান্ত স্থাপন