গল্পের প্রয়োজনে অন্তরঙ্গ দৃশ্য করেছি: রাজ রিপা
Published: 29th, June 2025 GMT
চলতি বছরের ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পায় রোমান্টিক ঘরানার চলচ্চিত্র ‘ময়না’। এ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় নবাগত চিত্রনায়িকা রাজ রিপার। সিনেমাটির কিছু দৃশ্য—বিশেষ করে চুম্বন ও অন্তরঙ্গ মুহূর্ত নিয়ে শুরু থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। বিতর্কিত সেই দৃশ্য নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন রাজ রিপা।
রাজ রিপা বলেন, “কিসিং ব্যাপারটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। চরিত্রের প্রয়োজনে করা হয়েছে। আমি রিপা হিসেবে নয়, ‘ময়না’ চরিত্র হিসেবে অভিনয় করেছি। ক্যামেরার সামনে আমি ছিলাম না, ছিল ‘ময়না’। চরিত্রের গভীরতা বোঝাতে চুম্বনের দৃশ্যটি ছিল অপরিহার্য।”
আরো সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক। এ তথ্য স্মরণ করে রাজ রিপা বলেন, “চরিত্রের গঠন অনুযায়ী আরো কিছু সাহসী দৃশ্যের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আমি পরিচালককে জানিয়ে দিই—সেটি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। শারীরিক ভাষা বা পোশাকে কিছুটা শালীনতা বজায় রেখে কাজ করেছি।”
আরো পড়ুন:
ধর্ষণের প্রতিবাদে সরব তারকারা
৯ দিনে কত আয় করল আমিরের সিনেমা?
শালীনতা বজায় রেখে কাজ করার কথা উল্লেখ করে রাজ রিপা বলেন, “আমি ময়না সিনেমায় কাজ করেছি, কিন্তু চেয়েছি পোশাকের মাধ্যমে খানিকটা শালীনতা থাকুক। আমাকে গল্প বলেছে একটা, কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটিকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে, যাতে ভালো-মন্দের দ্বন্দ্বটা থাকে।”
বিতর্কের পাশাপাশি ‘ময়না’ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি। মনজুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত সিনেমাটি লন্ডনের ‘ইএমএমএএস বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩’-এ সেরা ফিল্ম প্রোডাকশন পুরস্কার, ইতালির ‘কলিজিয়াম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এ বিশেষ পুরস্কার, মুম্বাইয়ের ‘গোল্ডেন জুরি চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এ সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২১তম আপোরিয়া আন্তর্জাতিক ভিলেজ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়াল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ১২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৩৭ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬১ হাজার ৭২২ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
নেতানিয়াহু পথ হারিয়ে ফেলেছেন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
গাজায় গণহত্যার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস চুক্তি মিশরের
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৫ জনে আহত হয়েছেন। এতে করে গত ২৭ মে থেকে মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ কেন্দ্র থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরো ১৩ হাজার ৫৯৪ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এছাড়াও জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশুসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরো গভীর হওয়ার সাথে সাথে দুর্ভিক্ষে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১০৬ জন শিশুও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪২ হাজার ৪৮৪ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ