ঢাকা বারের সাবেক ৩ সভাপতিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 29th, June 2025 GMT
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তিনটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার এ মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা।
মামলা তিনটি আমলে নিয়ে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
যে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার, মাহাবুবুর রহমান ও মিজানুর রহমান মামুন; সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, আনোয়ার শাহাদাত শাওন ও ফিরোজুর রহমান (মন্টু); সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আক্তার হোসেন ও সহসভাপতি প্রাণ নাথ; কোষাধ্যক্ষ নূর হোসেন, ওমর ফারুক ও বিবি ফাতিমা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক তিনটি কমিটির ১১ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকা বারের অ্যানেক্স–৩ ও অ্যানেক্স–৪ নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে বর্তমান কমিটি। মূলত ভবন নির্মাণব্যয় নিয়ে স্বনামধন্য অডিট কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বারের ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ‘টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি’ জানার পর সাধারণ আইনজীবীরা সংক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের জন্য ঢাকা বারের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি মামলা করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১১ জন র ব র দ ধ র রহম ন আইনজ ব কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।