স্থল, নৌ, সমুদ্রবন্দরহ সার্বিক লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। লজিস্টিকস খাতে প্রত্যাশিত উন্নতি না হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। দেশের লজিস্টকস খাতের উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো দীর্ঘমেয়াদি কোনো মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা না থাকা।
গতকাল রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
রাজধানীর ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ, বিমান ও সমুদ্র বন্দর এবং ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সমন্বয়ে একটি বহুমাত্রিক পরিবহন ইকোসিস্টেম প্রয়োজন। অন্যথায় আমাদের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এম মাসরুর রিয়াজ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে গিয়ে ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদকে হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর
ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী কারাগারে গিয়ে বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ মারওয়ান বারগুতিকে হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি এ হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা গেছে, কারাবন্দি বারগুতিকে গাভির হুমকি দিয়ে বলছেন, কেউ ইসরায়েলকে হুমকি দেবে তাকে নির্মূল করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের অতি-জাতীয়তাবাদী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছিলেন, একটি বন্দোবস্তের কাজ শুরু হবে যা পশ্চিম তীরকে দ্বিখণ্ডিত করবে এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে এটিকে আরো বিচ্ছিন্ন করবে। এর ফলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণা একেবারে কবরস্থ হবে।
তিনি বলেছেন, “এই বাস্তবতা অবশেষে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে সমাহিত করে। কারণ স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কিছুই নেই এবং স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কেউ নেই।”
শুক্রবার বেন-গাভিরের এক্স-এর ভিডিও ক্লিপে বারগুতিকে রোগা এবং দুর্বল দেখাচ্ছিল।
ইসরায়েলি মন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, “তুমি জিততে পারবে না। যে কেউ ইসরায়েলের জনগণের সাথে ঝামেলা করবে, যে কেউ আমাদের সন্তানদের হত্যা করবে, যে কেউ আমাদের নারীদের হত্যা করবে - আমরা তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।”
বারগুতি ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের একজন সিনিয়র সদস্য। দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা বিদ্রোহের সময় ইসরায়েলিদের উপর অতর্কিত হামলা ও আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনার জন্য আদালত তাকে ২০০৪ সালে পাঁচটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ঢাকা/শাহেদ